1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অচলাবস্থা কাটাতে জার্মানিতে ভ্যাকসিন সামিট

১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

জার্মানি, তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের টিকা সরবরাহ, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ সোমবার চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসছেন৷

https://p.dw.com/p/3oek0
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলছবি: Stefan Boness/imago images/IPON

করোনা সংকট সামলাতে গিয়ে বিশ্বের অনেক দেশের মতো জার্মানিরও নাজেহাল অবস্থা৷ একদিকে লকডাউনের মতো কড়া পদক্ষেপ নিয়ে সরকার সংক্রমণের হার কমানোর চেষ্টা করছে৷ অন্যদিকে যাবতীয় পরিকল্পনা ও অবকাঠামো সত্ত্বেও একাধিক কারণে টিকাদান কর্মসূচি যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে না৷ এ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক উদ্যোগও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ তার উপর ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের মতো দেশ থেকে আসা করোনাভাইরাসের আরো ছোঁয়াচে সংস্করণ কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে৷

জার্মানিতে আপাতত লকডাউনের মেয়াদ ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ কিন্তু তার আগেই বিশেষ করে টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে বর্তমান অচলাবস্থা কাটাতে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সোমবার এক শীর্ষ বৈঠক ডেকেছেন৷ কে, কবে, কীভাবে টিকা পেতে পারেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য চাপ বাড়ছে৷ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় স্তরে টিকা পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোমবারের বৈঠকে ম্যার্কেল ও মুখ্যমন্ত্রীরা ছাড়াও ফেডারেল মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য, টিকা প্রস্তুতকারক কোম্পানি এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন৷

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচিকে ঘিরে হতাশা ও অধৈর্যের কারণ তিনি বুঝতে পারলেও আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন৷ তার মতে, প্রতি সপ্তাহে টিকার সরবরাহ হচ্ছে, টিকার সংখ্যাও বাড়ছে৷ টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাজেনিকার মতো কোম্পানির আপাতত কিছু সমস্যা থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে সার্বিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে স্পান আশ্বাস দিয়েছেন৷ তিনি এমনকি রাশিয়া ও চীনে তৈরি টিকা প্রয়োগের বিষয়ে খোলামেলা আলোচনায় আপত্তি জানাচ্ছেন না৷

জার্মানিতে টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনতে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাস্ট্রাজেনিকা কোম্পানির টিকার ক্ষেত্রে এখনই কমবয়সিদের টিকার সুযোগ দেবার কথা ভাবছেন৷ উল্লেখ্য, জার্মানির টিকা কমিশন ১৬ থেকে ৬৩ বছর বয়সিদের জন্য এই টিকাদানের প্রস্তাব রেখেছে৷

১৪ই ফেব্রুয়ারির পর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রশ্নেও রাজনৈতিক মহলে দুশ্চিন্তা দেখা দিচ্ছে৷ বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের মধ্যে এমন কড়া পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন কমছে৷ ফেডারেল পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ফ্রানৎসিস্কা গিফাই কমপক্ষে স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন আবার খোলার বিষয়ে স্পষ্ট নীতির পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ স্থানীয় স্তরে পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিন্ডারগার্টেন খোলার সুযোগ দিতে চান তিনি৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল তার শনিবারের পডকাস্টে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বর্তমান কড়া পদক্ষেপের পক্ষে আবার সওয়াল করেছেন৷ তিনি বলেন, সার্বিকভাবে সংক্রমণের হার কমছে বটে, কিন্তু করোনা ভাইরাসের চরম ছোঁয়াচে সংস্করণের কারণে এখনো বড় বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে৷ এমন পরিস্থিতিতে স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন খোলার সুযোগ দেখছেন না তিনি৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)