টিআইবি’র নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা
১২ এপ্রিল ২০১৩
টিআইবি তাদের নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করে শুক্রবার৷ তাতে বলা হয়েছে, প্রথমে জাতীয় সংসদের স্পিকার দুই রাজনৈতিক জোটের সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বনিম্ন ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম আহ্বান করবেন৷ তাদের নিয়ে গঠন করা হবে সংসদীয় ঐক্যমত কমিটি৷ এই কমিটি নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন৷ এবং প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের ১০ জন সদস্য নির্বাচন করবেন৷ অথবা প্রথমে ১০ জন সদস্য নির্বাচন করা হবে এবং তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান নির্বাচন করা হবে৷ নির্বাচনকালীন এই সরকারের মেয়াদ হবে ৩ মাস৷ সংসদীয় ঐক্যমত কমিটির সদস্য জোড় সংখ্যায় ৪-এর অধিকও হতে পারে৷ তবে সদস্যরা সমানুপাতিকভাবে দুই জোটের মধ্য থেকে হবেন৷ আর নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান এবং ১০ জন সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন অথবা অনির্বাচিত হতে পারেন৷ তবে সবার কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য হতে হবে৷
এ নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান৷ তিনি বলেন, তাঁদের এই রূপরেখা সোমবার সব রাজনৈতিক দলের প্রধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো হবে৷ তাঁরা চান সবার সঙ্গে এই রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করতে৷ কারণ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখনই আলোচনা শুরু না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে৷
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এর আগে সরকার ও বিরোধী দল আলোচনার কথা বললেও আলোচনার বিষয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন প্রস্তাব ছিলনা৷ এখন তারা প্রস্তাব দিলেন৷ এই রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে হয়তো এর চেয়ে ভালো কোন রূপরেখাও বেড়িয়ে আসতে পারে৷
তিনি জানান, তাঁদের রূপরেখা যদি শেষ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে৷ সেজন্য তাঁরা সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলবেন৷ এ জন্য গণভোটেরও প্রয়োজন হতে পারে৷
টিআইবি আগামী নির্বাচনের জন্য এই রূপরেখা প্রস্তাব করছে৷ তবে এর আলোকে একটি সময়সীমাও বেধে দেয়া যায়, যে কতবার এই রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন হবে৷ ড. ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মত পরিবেশ এখনো হয়নি৷ এবার দুই প্রধান জোট যেভাবে অনড়, তাতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে৷ তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীন সরকারের কোন বিকল্প নেই৷ টিআইবি অরাজনৈতিক সংগঠন হয়েও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কেন কথা বলছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ রাজনীতির বাইরে নয়৷ দেশের ও দেশের মানুষের জন্য ভাবতে কোন বাধা নেই৷