1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টন্টনে সাকিবের অনুপ্রেরণা হতে পারেন গাঙ্গুলি

আরাফাতুল ইসলাম টন্টন থেকে
১৬ জুন ২০১৯

টন্টনে এখন অবধি কোন ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ৷ খুব বেশি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ অবশ্য হয়ওনি সেখানে৷ তবে, এই মাঠের যেটুকু পরিচিতি, তার এক বড় অংশ জুড়ে আছেন এক বাঙালি৷

https://p.dw.com/p/3KYIo
ICC Cricket World Cup England - Bangladesch
ছবি: Getty Images/AFP/P. Ellis

ব্রিটেনের সমারসেট কাউন্টির এক বড় শহর টন্টন৷ সাক্যুলে বাসিন্দা ষাট হাজারের মতো৷ আর এখানকার ক্রিকেট মাঠ, যা কিনা ‘কুপার এসোসিয়েটস কাউন্টি গ্রাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত, সেটির দর্শক ধারণক্ষমতা দশহাজারেরও কম৷ ছোট্ট এই মাঠে এখন অবধি পাঁচটি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সবগুলোই ১৯৮৩, ১৯৯৯ এবং চলতি বিশ্বকাপের বিভিন্ন ম্যাচ৷
এ মাঠটিতে সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি  হচ্ছে বাংলাদেশ৷ অতীতে এই মাঠে কখনো খেলেনি টাইগাররা৷ ফলে মাঠ সম্পর্কে ধারণা খুব বেশি নেই তাঁদের৷ তথ্য উপাত্ত যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মাঠের পিচ পেসারবান্ধব৷ আকারে ছোট এই মাঠে সোমবার সকালে সূর্যের দেখা মেলার সম্ভবনা ক্রমশ বাড়ছে৷ সেটি হলে আর দিনভর মেঘরোদের খেলা চললে, টাইগারদের সঙ্গে ক্যারিবীয়দের লড়াইয়ে বড় স্কোরের দেখা মিলতে পারে৷ এই মাঠে আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৩০৭ রানের বড় স্কোর গড়ে হারিয়েছে পাকিস্তানকে৷    
এখন পর্যন্ত ক্রিকেটবোদ্ধারা যে পূর্বাভাষ দিচ্ছেন, তাতে একটি বিষয় পরিষ্কার৷ ক্যারিবীয় পেসাররা এই মাঠে হয়ে উঠতে পারেন ভয়ঙ্কর৷ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের উপর বলের গতি তুলতে সক্ষম শ্যানন গাব্রিয়েল, শেল্ডন কটরেল ও জেসন হোল্ডারের মতো বোলাররা রয়েছেন ক্যারিবীয়দের দলে৷ গতিময় এ বোলারদের সামলানোই হবে বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাটিং  লাইনআপের বড় চ্যালেঞ্জ৷
তবে, এতখানি পড়েই ঘাবড়ে যাবেন না যেন৷ সাম্প্রতিক অতীতের দিকে তাকালে কিন্তু মাশরাফিদের জয়ের পাল্লাই ভারি৷দু’দলের সর্বশেষ দশ মোকাবেলায় সাতবারই জয় পেয়েছে টাইগাররা৷ আর বিশ্বকাপের ঠিক আগেতো আয়ারল্যান্ডে উইন্ডিজদের একাধিকবার হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয় করেছে টাইগাররা৷
টাইগারদের যে দুর্বলতা এই বিশ্বকাপে বিশেষভাবে ধরা পড়েছে, তা হলো একজন গতির ঝড় তোলা পেসারের অভাব৷ ক্যারিবীয়দের যা সবচেয়ে শক্তিশালী দিক, টাইগারদের সেটা দুর্বল দিক৷ তাসত্ত্বেও ক্রিস গেইল, সেই হোপ আর আন্দ্রে রাসেলকে আটকাতে পারলে জয়টা কঠিন হবার কথা নয়৷
কেউ কেউ হয়ত ভাবছেন, টাইগারদের সঙ্গে ক্যারিবীয়দের লড়াইয়ে শুরুতে গাঙ্গুলির কথা টানলাম কেন৷ টন্টনের এই মাঠে ১৯৯৯-র বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একাধিক রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি৷ নিজের সর্বোচ্চ এবং বিশ্বকাপে এখন অবধি কোন একক খেলোয়াড়ের এক ম্যাচে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ডটা টন্টনেই করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সজ্জন হিসেবে পরিচিত এই ‘বাঙালি দাদা’৷ ১৭টি চার আর সাতটি ছয়ে গড়া ১৮৩ রানের সেই ইনিংস টন্টনে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ স্কোর৷ শুধু তাই নয়, সেই ম্যাচে ৩৭৩ রান তুলে ১৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ভারত৷
গাঙ্গুলির এর রেকর্ড নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে৷ চলতি বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রথম তিন ম্যাচে দু’টি অর্ধশতক আর একটি শতক উপহার দিয়েছেন তিনি৷ ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হওয়ার দৌঁড়েও এগিয়ে আছেন মাগুরার এই যুবক৷ টন্টনে সোমবার আরেক বাঙালির রেকর্ড ভাঙ্গার চেষ্টা কি করবেন সাকিব?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য