1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরণ

২১ নভেম্বর ২০২২

ফের ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরণ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো স্পষ্ট নয়।

https://p.dw.com/p/4JoRM
ইউক্রেন যুদ্ধ
ছবি: Stringer/AA/picture alliance

ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের সামনে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)। রোববার রাতে এবং সোমবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে। কারা এই বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

জাতিসংঘের নিউক্লিয়ার সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, এখনো ওই পরমাণু কেন্দ্রের একটি অংশ রাশিয়ার দখলে। বিস্ফোরণ হয়েছে সেই অংশেই। বিস্ফোরণের ফলে ওই অংশের কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লান্টের কিছু যন্ত্রপাতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বা পরমাণু বর্জ্যের অংশে কোনো ক্ষতি হয়নি।

আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, যারাই এই ঘটনার পিছনে থাক, তারা আগুন নিয়ে খেলছে। এখনই এই ধরনের হামলা বন্ধ করা দরকার। যে কোনোদিন এর থেকে বড়রকমের বিপর্যয় হতে পারে। পরমাণু রিঅ্যাক্টরের ক্ষতি হলে গোটা এলাকায় রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়বে।

বস্তুত, এর আগেও একাধিকবার ওই পরমাণু কেন্দ্রে বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইটি চুল্লি বিস্ফোরণের জন্য বন্ধও রাখতে হয়েছিল। ইউক্রেনের অভিযোগ, রাশিয়ার সেনা ঢাল হিসেবে ওই পরমাণু কেন্দ্রটি ব্যবহার করছে। তারা ওই কেন্দ্রটিকে নিজেদের ঘাঁটি বানিয়েছে।

আইএইএ ফের জানিয়েছে, পরমাণু কেন্দ্রের চারপাশে একটি সেফটি জোন তৈরি করা দরকার। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কাছে এই প্রস্তাব একাধিকবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশই তাতে সম্পূর্ণ সায় দেয়নি। এদিনের ঘটনার পর তা দ্রুত করা দরকার বলে আএইএ প্রধান মন্তব্য করেছেন।

রাশিয়ার সামরিক মন্ত্রণালয় এদিনের আক্রমণের জন্য কিয়েভকে দায়ী করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন বার বার পরমাণু কেন্দ্রটিতে আক্রমণ চালাচ্ছে।

ইউক্রেন অবশ্য হামলার দায় নিতে চায়নি। ঘটনার জন্য তারা রাশিয়ার দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের দাবি, বরাবরই রাশিয়া ওই পরমাণু কেন্দ্রের সামনে হামলা চালাচ্ছে।

ঝাপোরিজ্ঝিয়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ইউক্রেনের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ এই কেন্দ্রটি থেকে যায়। তবে রাশিয়া অভিযান শুরু করার পর ধীরে ধীরে এই কেন্দ্রের উৎপাদন কমেছে। রাশিয়া কেন্দ্রটি দখল করে নিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)