ঝলসে যাচ্ছে কলকাতা, বাঘ, হাতিও জলে গা ডুবিয়ে
এরকম গরম কলকাতায় থাকে না। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার উপরে। শুকনো গরম। সঙ্গে গরম হাওয়া বইছে।
শুধু জলের খোঁজে
সারাদিন কলকাতার মানুষ শুধু জলের খোঁজ করছেন। হয় খাওয়ার জন্য। অথবা শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য। বাচ্চারা সমানে ঝাঁপ দিচ্ছে গঙ্গায়। অথবা কোথাও জলধারা পেলে তাতে স্নান করে নিচ্ছে।
শুকনো গরম
কলকাতার গরমে আদ্রতার পরিমাণ থাকে খুব বেশি। তাই দরদর করে ঘামতে হয়। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৩৭-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু এবার পুরো উল্টো। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি। সেই সঙ্গে একেবারে শুকনো গরম। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ কম। এই গরম মানুষের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। তখন এভাবে গায়ে জল ঢালার ব্যবস্থা করতে হয়।
জলে বাঘ
চিড়িয়াখানার ছবি। গরমের হাত থেকে বাঁচতে জলে আশ্রয় নিয়েছে বাঘ। সেখানেই দুপুরের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছে এই রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার।
হাতিও কাবু
এই গরমে কাবু হয়ে পড়ছে হাতিও। তারাও জলের মধ্যে গিয়ে বসে আছে। সমানে গায়ে জল ছেটাচ্ছে
ছায়ার খোঁজে ঘোড়া
ময়দানে ঘোড়াও ছায়া খুঁজে নিয়ে সেখানে ঘাস খাচ্ছে। রোদে যাওয়ার সাহস নেই ঘোড়ারও।
মাথায়-মুখে জল
এই গরমেও কাজ করে যেতে হচ্ছে ট্রাম ও বাসের কন্ডাকটরদের। নিজেকে সুস্থ রাখতে তারা বারেবারে মাথায়, মুখে জল দিচ্ছেন।
রাস্তায় মানুষ প্রায় নেই
কলকাতার অফিসপাড়া। সাধারণ সময়ে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু এখন শুধু গাড়ি দেখা যাচ্ছে। মানুষ প্রায় নেই বললেই চলে। দরকার না হলে, কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছেন না।
ছাতার বদলে
রাস্তায় বের হলে এই মানুষটির মতো অবস্থা হচ্ছে। ছাতা নেই। তাই রুমাল দিয়ে মাথা ঢেকে চলাচল করতে হচ্ছে।
জলের জন্য
সকাল থেকে চলছে জল ধরে রাখার ব্যস্ততা। এই গরমে জল তো বেশি লাগবেই। নাহলে শরীর অসুস্থ হতে বাধ্য। সকাল সকাল সেই জলের কাজ সেরে ফেলার ব্যস্ততা এখানে।
ঠেলাওয়ালার অবস্থা
কাজ তো করতেই হবে। যখন কাজ নেই, তখন ছায়া খুঁজে বের করে লুঙ্গিটা হাঁটুর উপরে তুলে নিয়ে খালি গায়ে হাতপাখার হাওয়া খেয়ে একটু স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা।
ঘুমের দেশে
এই গরমে সবচেয়ে ভালো কাজ। ময়দানের রেলিংয়ে লম্বা ঘুম লাগানো।
খদ্দের নেই তো ঘুম
গরমের দুপুরে কেউ কিছু কিনতে আসছে না। তাই দোকানদারও ঘুমিয়ে নিচ্ছেন।
নারী পুলিশের অবস্থা
গরম হলেও পুলিশকর্মীদের তো কাজ করতেই হবে। এই নারী পুলিশকর্মী যেমন হাতপাথা দিয়ে গরমের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চাইছেন।
ট্রাফিক পুলিশের হাল
কিন্তু ট্রাফিক পুলিশকে তো রেদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক পরিচালনা করতে হবে। তাই তারা ছাতা মাথায় পুরোহাতা গ্লাভস পরে রোদ ও গরমের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন।