1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জ্বালানি ও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে ফ্রান্সে পুটিন

২৭ নভেম্বর ২০০৯

রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন শুক্রবার ফরাসী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন৷ গাড়ি শিল্পে বিনিয়োগ, গ্যাস পাইপলাইন এবং ফ্রান্সের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ কেনাই তাঁর এ সফরের মূল লক্ষ্য৷

https://p.dw.com/p/KjfJ
রাশিয়া-ফ্রান্স সহযোগিতা সম্মেলনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয়ছবি: AP

ফরাসী প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি ব্রাজিল সফরে থাকায় তাঁর সঙ্গে দেখা হচ্ছে না পুটিনের৷ তবে দুই নেতা গতকাল টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা৷

ইইউ'র পূর্ব ইউরোপের অংশীদার দেশগুলো পুটিনের এ সফর নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নে থাকা দেশগুলো ওই অঞ্চলের জ্বালানি সম্পদ নিয়ন্ত্রণ ক্রমাগত রাশিয়ার হাতে চলে যাওয়া এবং দেশটির নব সামরিক উত্থানের বিষয়ে ইতোমধ্যেই তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে৷

রুশ গাড়ি শিল্পে বিনিয়োগ

Putin auf dem Parteitag von Einiges Russland
রুশ প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিনছবি: AP

বিখ্যাত লাডা গাড়ির প্রস্তুতকারক রুশ কোম্পানি অটোভাজকে বাঁচাতে আরও বিনিয়োগ চান পুটিন৷ ফ্রান্সের রেনো বর্তমানে কোম্পানিটির ২৫ ভাগ শেয়ারের মালিক৷ কিন্তু লোকসান দিতে থাকা এ কোম্পানিতে আরও বিনিয়োগ না করলে ওই শেয়ারের ভবিষ্যত নিয়ে গত মাসে ফরাসীদের সতর্ক করে দেন পুটিন৷

তবে, খবর শোনা গেছে যে শেয়ার বাড়াতে যাচ্ছে রেনো৷ পুটিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভও জানালেন, ‘‘রেনো-নিশান কোম্পানিটির (অটোভাজ) স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনায় অংশ নেবে৷''

উত্তর-দক্ষিণ গ্যাস পাইপলাইন


রাশিয়ার পরিকল্পিত ‘নর্থ স্ট্রিম' ও ‘সাউথ স্ট্রিম' গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি সংযোগের কারণে ইউরোপের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে ফ্রান্সের পূর্ব ইউরোপীয় মিত্ররা৷

কিন্তু ফরাসী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ তেল-গ্যাস জায়ান্ট ‘গ্যাজপ্রম' এর সঙ্গে বিভিন্ন কোম্পানির আলোচনা চলছে৷ বিশেষত ‘ইডিএফ' ইটালির ‘ইএনআই' ও গ্যাজপ্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাউথ স্ট্রিমের ১০ ভাগ মালিকানা নিতে পারে বলে কথা হচ্ছে৷ শুক্রবারই এ বিষয়ে চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে৷

পিটার্সবার্গে মিস্ত্রাল এর নোঙ্গর


এ সপ্তাহে সেইন্ট পিটার্সবার্গে ফরাসী নৌবাহিনীর কমান্ড জাহাজ মিস্ত্রাল এর নোঙ্গর করা বিষয়ে রুশদের ফরাসী যুদ্ধজাহাজ কেনার বাসনা নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়৷ ২০০ মিটার দীর্ঘ ২১,০০০ টনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ মিস্ত্রাল ভারী হেলিকপ্টার, ল্যান্ডিং ক্র্যাফট এবং ট্যাংকসহ ৯০০ কমান্ডোর বাহিনীকে নিয়ে লড়াই করতে সক্ষম৷ ফরাসী নৌবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জাহাজ এটি৷

আগস্ট মাসে রাশিয়া জানায় নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ বানানোর নীতি বাদ দিয়ে তারা এখন ফ্রান্সের ওই জাহাজ কিনতে চাচ্ছে৷ সম্ভাব্য চুক্তি অনুসারে এ জাহাজ কেনার পর রাশিয়া ফরাসী লাইসেন্স নিয়ে হুবহু মিস্ত্রালের মডেলের চারটি যুদ্ধজাহাজ তৈরী করতে পারবে৷

বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর উদ্বেগ


ইইউ এবং ন্যাটো সদস্য লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার পর বুধবার লিথুনিয়াও রাশিয়া-ফ্রান্স সামরিক সহযোগিতা নিয়ে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে৷ লিথুনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো প্যারিসকে এটা স্পষ্ট করতে বলেছে যে, ‘‘রাশিয়ার কাছে ঠিক কী ধরণের সরঞ্জামাদি বিক্রি করা হচ্ছে এবং তা কী কাজে ব্যবহৃত হবে৷''

এছাড়া ইইউ এবং ন্যাটোর সদস্যপদ প্রার্থী জর্জিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রুশদের কাছে মিস্ত্রাল বিক্রি করার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ দেশটি মনে করে রাশিয়ার জন্য এ যুদ্ধজাহাজের একমাত্র ব্যবহার হতে পারে জর্জিয়া এবং ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে তা কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন করা৷

প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদক: আব্দুস সাত্তার