1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জোড়া হামলায় নিহত ৯২, নরওয়েতে শোকের ছায়া

২৩ জুলাই ২০১১

নরওয়ের রাজধানী অসলোয় বোমা হামলার পর উটোয়া দ্বীপের যুব শিবিরে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনা ঘটল৷ উভয় ঘটনায় অন্তত ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ দপ্তর৷ আটক সন্দেহভাজন ব্যক্তি ‘চরমপন্থী খ্রিষ্টান’ বলে পুলিশের ধারণা৷

https://p.dw.com/p/122BH
Smoke rises from buildings in Oslo, Norway, at the scene of a large explosion which tore apart several buildings Friday July 22, 2011. A loud explosion shattered windows Friday in several buildings including the government headquarters in Oslo which includes the prime minister's office, injuring several people. Prime Minister Jens Stoltenberg is safe, government spokeswoman Camilla Ryste told The Associated Press. The cause of the blast is not yet known. (AP PHOTO / Aleksander Andersen, Scanpix) NORWAY OUT
ছবি: AP

অসলোয় বোমা হামলা

অসলোর প্রাণকেন্দ্রে বোমা হামলা হয়েছে শুক্রবার দুপুরের কিছু পরেই৷ এতোটাই ভয়াবহ ছিল বোমা বিস্ফোরণের মাত্রা যে তাতে প্রধানমন্ত্রীর ভবনসহ এর পাশে থাকা অর্থ ও তেল মন্ত্রণালয়ের ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ একইসাথে ঐ চত্বরে অবস্থিত নরওয়ের বহুল প্রচারিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘ভ্যারডেন্স গ্যাঙ্গ' এর ভবনটিতেও আঘাত লেগেছে৷ অসলোর এই চত্বরটিতে অধিকাংশ সময় মানুষের ভিড় থাকলেও বছরের এই সময়ে বেশিরভাগ মানুষ গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে রয়েছে বলে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কম হয়েছে৷ এই ঘটনায় অন্তত সাতজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে৷

NO FLASH /// This is an aerial view of Utoya Island, Norway, taken Thursday, July 21, 2011. Police say they are sending anti-terror police to a youth camp outside Oslo after reports of a shooting there following the bomb blast at the government headquarters. The news site VG reported that a man dressed in a police uniform opened fire at the camp. It says several people were injured. Oslo police chief Anstein Gjengdal said anti-terror units were being sent to the camp at Utoya, outside the Norwegian capital. He had no other information on that incident, which came hours after a bomb blast outside the government headquarters killed at least two people and injured 15. (Foto:Mapaid, Lasse Tur/AP/dapd) NORWAY OUT
নরওয়ের উটোয়া দ্বীপছবি: AP

উটোয়া দ্বীপে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলি

অসলোয় বোমা হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই উটোয়া দ্বীপে বন্দুকধারী হামলা চালায়৷ সেখানে নরওয়ের ক্ষমতায় থাকা লেবার পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত যুব শিবিরে পুলিশের পোশাক পরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে মধ্যবয়সি এক ব্যক্তি৷ ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত তরুণরা যে যার মতো পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে৷ অনেকে পাথর কিংবা গাছের আড়ালে কিংবা পানিতে ঝাপিয়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে৷ কিন্তু বন্দুকধারী ব্যক্তি পানিতেও গুলি করছিল বলে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছে৷ পুলিশ বলছে, সেখানে নারকীয় তাণ্ডব ঠেকাতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছার আগে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে ঐ ব্যক্তি৷ এতে অন্তত ৮৫ জন নিহত হয়েছে৷ আহত হয়েছে আরো অনেকে৷

###Nicht für Flash-Galerien verwenden!### Medics and emergency workers escort youths from a camp site on the island of Utoya, Norway Saturday July 23, 2011. A Norwegian dressed as a police officer gunned down at least 84 people at an island retreat, police said Saturday. Investigators are still searching the surrounding waters, where people fled the attack, which followed an explosion in nearby Oslo that killed seven. (AP Photo/Morten Edvardsen/Scanpix
উটোয়া দ্বীপের উদ্ধারকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতাছবি: AP

জোড়া হামলার সূত্র সন্ধান

এই জোড়া হামলার ঘটনার পর শোকের ছায়া গোটা নরওয়েসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে৷ ৩২ বছর বয়সি এক নরওয়েজিয়ানকে এই জোড়া হামলার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে আটক করেছে পুলিশ৷ স্থানীয় গণমাধ্যমে তার নাম বলা হচ্ছে আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক৷ উটোয়া দ্বীপ থেকে তাকে আটক করা ছাড়াও সেখানে অবিস্ফোরিত বেশ কিছু বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ ব্রেইভিকের ফেসবুক ও টুইটার পাতায় লেখা সাম্প্রতিক বার্তা বিশ্লেষণ করে পুলিশ মনে করছে, সে মুসলিম বিরোধী চেতনার এক উগ্রপন্থী খ্রিষ্টান৷ তার নিজের নামে দু'টি বন্দুকের নিবন্ধন করা ছিল৷

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়েন্স স্টলটেনব্যার্গ এই ঘটনাকে জাতীয় ট্রাজেডি তথা বিয়োগান্তক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন৷ তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, তরুণদের স্বর্গকে নরকে পরিণত করেছে এই বন্দুকধারী৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই সবচেয়ে বেদনাবিধুর ঘটনা বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনব্যার্গ৷ নরওয়েতে জোড়া হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম