গিন্নির ঠ্যাঙানি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২সিএনএন সংবাদ সংস্থার ‘‘লাইফ স্টোরিজ'' চ্যাট শো'তে হোস্ট পিয়ার্স মর্গান'কে সেই অসাধারণ কাহিনি শোনান রজার মুর৷ মুর'এর চারবার বিয়ে৷ প্রথমা স্ত্রী ছিলেন আইস স্কেটার ডোর্ন ফ্যান স্টাইন৷ বিয়েটা টিকেছিল ১৯৫৩ সাল অবধি৷ ফ্যান স্টাইন মারা যান ২০১০ সালে৷ মুর'এর দ্বিতীয়া স্ত্রী ছিলেন ওয়েলশ গায়িকা ডরোথি স্কোয়ার্স৷ দু'জনের ডিভোর্স হয় ১৯৬৮ সালে৷ স্কোয়ার্স মারা যান ১৯৯৮ সালে৷ কাজেই এখন মুর'এর এই দুই বিয়ের খুঁটিনাটি প্রকাশ করতে কোনো বাধা নেই৷ যেন জেমস বন্ডের অতি গোপনীয় ফাইলগুলো অবশেষে আর্কাইভ থেকে রিলিজ করা হচ্ছে৷
মুর যখন ফ্যান স্টাইনকে বিয়ে করেন, তখন তাঁর - মানে মুর'এর - বয়স ছিল ১৯৷ বিয়ে সুখি হয়েছিল কিনা আজ আর বলা যাবে না৷ তবে ফ্যান স্টাইন একবার মুর'এর দিকে একটি টি-পট ছুঁড়ে মেরেছিলেন৷ ফ্যান স্টাইন নাকি তাঁকে আঁচড়ে-কামড়ে দিতেন৷ ‘‘বাড়ি গেলেই আমার মা সেই সব আঁচড়ের দাগ দেখে আঁতকে উঠতেন,'' পিয়ার্স মর্গানের সাক্ষাৎকারে বলেছেন মুর৷
পরবর্তী স্ত্রী ডরোথি স্কোয়ার্স সম্পর্কে মুর বলেছেন, ডরোথির নাকি দারুণ মাথাগরম ছিল৷ তিনি নাকি একবার হাতের গিটারটি দিয়ে মুর'এর মাথায় এক ঘা বসিয়ে দিয়েছিলেন৷ মনে রাখতে হবে, রজার মুর জেমস বন্ডের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন ১৯৭৩ সাল৷ ছবিটির নাম ছিল ‘লিভ অ্যান্ড লেট ডাই', অর্থাৎ ‘বাঁচো এবং মরতে দাও'৷ দেখা যাচ্ছে, মুর'এর ছবিগুলোর মতোই তাঁর দাম্পত্যজীবনও কিছু কম অ্যাকশন-পূর্ণ ছিল না৷
১৯৬৮ সালে ডরোথি স্কোয়ার্সের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হবার পর মুর তার পরের বছর ইটালির অভিনেত্রী লুইজা মাত্তিওলি'কে বিবাহ করেন৷ দু'জনের তিনটি সন্তানও হয়৷ এ'বিয়েও ভেঙে যায় ১৯৯৬ সালে৷ ২০০২ সালে মুর বিয়ে করেন ক্রিস্টিনা থলস্ট্রুপ'কে৷ ইনি একজন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান সোসালাইট, বয়স ৭১৷ এজেন্ট জিরো-জিরো-সেভেনের এই শেষ দু'টি বৈবাহিক অ্যাডভেঞ্চার কেমন চলেছে অথবা চলছে, সে'বিষয়ে রজার মুর আপাতত কিছু বলেননি৷ সে সব ফাইল আপাতত রানির মহাফেজখানায় কুলুপবন্ধ থাকছে৷
এসি / এসবি (এএফপি)