1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুরাসিক পার্ক কি আসতে চলেছে?

২৪ এপ্রিল ২০১৩

না, টিরোনোসরাস রেক্স নয়৷ তবে ভারত মহাসাগরের উড়ালহীন পাখি ডোডো, সাইবিরিয়ার সুবিশাল হাতি ম্যামথ, তাসমানিয়ার ’টাইগার’, এদের হয়ত আবার বাঁচিয়ে তোলা যাবে এবং সেটা আমাদের জীবদ্দশাতেই – বলছেন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/18LWh
ছবি: dapd

এরই নাম বায়োজেনেটিক্স৷ ৬০ বছর আগে ফ্রান্সিস ক্রিক ও জেমস ওয়াটসন ডিএনএ-র কাঠামো উদঘাটন করেন, সেই সুবিখ্যাত ডাবল হেলিক্স, যাতে জীবনের যাবতীয় সংকেত ধরা আছে৷ তারই কল্যাণে আজকের বিজ্ঞানীরা এমন সব জীবজন্তুকে আবার বাঁচিয়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন, যারা হয়ত হাজার-হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছে৷

পদ্ধতিটা জুরাসিক পার্কের মতোই হবে: অর্থাৎ বিলুপ্ত প্রাণীর সংরক্ষিত দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ বার করে সেই পুনর্বিন্যস্ত ডিম কোনো অনুরূপ প্রাণীর দেহে প্রোথিত করে নতুন প্রাণী তৈরি করা হবে৷ তারও অনেক পরে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর কৃত্রিম ডিএনএ সিকোয়েন্স তৈরি করে তাকে আবার বাঁচিয়ে তোলা যেতে পারে৷

এভাবে একটি বিলুপ্ত ব্যাঙকে বাঁচিয়ে তুলতে হয়তো এক কি দু'বছর সময় লাগবে৷ একটি ম্যামথ তৈরি করতে বিশ-ত্রিশ বছর সময় লেগে যাবে৷ প্রচেষ্টা তো অনেকদিন আগেই শুরু হয়েছে৷ ২০০৯ সালে গবেষকরা একটি বুকার্দো ক্লোন করেন, যা পিরেনিজ পর্বতমালার আইবেক্স বলেও পরিচিত৷ এটি হলো এক ধরনের পাহাড়ি ছাগল৷ ২০০০ সালে এই উপ-প্রজাতির শেষ মাদি ছাগলটির মৃত্যু হয়৷ তারই ডিএনএ নিয়ে যে ক্লোনড ছাগলটির জন্ম হয়, সেটি দশ মিনিটের বেশি বাঁচেনি, তার ফুসফুসের কোনো বিকৃতির কারণে৷

DNA Modell, Genetik
বায়োজেনেটিক্স এর মাধ্যমে হয়ত জুরাসিক পার্ককে ফিরিয়ে আনা যেতে পারেছবি: picture-alliance/dpa

গত মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক জানান যে, তারা তথাকথিত গ্যাস্ট্রিক ব্রুডিং ফ্রগ নামধারী ব্যাঙটির ভ্রুণ ক্লোন করতে সক্ষম হয়েছেন৷ এই প্রাণীটি ১৯৮৩ সালে লোপ পায়৷ তার বিশেষত্ব ছিল, সে তার ডিমগুলি গিলে ফেলে পরে পেটেই সেগুলিকে বড় করতো৷ ক্লোন করা ভ্রুণগুলি কিন্তু কয়েকদিনের বেশি বাঁচেনি৷

অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন স্বভাবতই তাসমানিয়ার টাইগারকে বাঁচিয়ে তোলা৷ বাঘের মতো ডোরাকাটা, কুকুরের আকারের, কিন্তু পেটের থলিতে বাচ্চা বড় করা জীবটি গত শতাব্দীর তিরিশের দশকে বিলুপ্ত হয়৷

তবে সবচেয়ে বড় উচ্চাকাঙ্খা জাপানি গবেষকদের৷ সাইবিরিয়ার চিরতুষারে যে সব ম্যামথের লাশ সুরক্ষিত ছিল, সেগুলি থেকে ডিএনএ বার করে আর বছর ছয়েকের মধ্যেই জীবন্ত ম্যামথ তৈরি করার আশা রাখেন এই গবেষকরা৷ ম্যামথরা বিলুপ্ত হয় শেষ তুষার যুগের সময়৷

এভাবেই ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জগুলির উড়ালবিহীন পাখি ডোডোর ডিএনএ বার করেছেন ব্রিটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত দেহাবশেষ থেকে৷ সব মিলিয়ে বিগত দু'লাখ বছরে যে সব প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে, তাদের আবার বাঁচিয়ে তোলার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷

কিন্তু জুরাসিক পার্কের ডাইনোসররা যে তার অনেক আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে...

এসি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য