1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জুতার জন্য ছয় বছরের অপেক্ষায় জার্মান সেনাবাহিনী

২৯ আগস্ট ২০১৯

২০১৬ থেকে চলছে জার্মান সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার'কে নতুন সামরিক জুতা এনে দেওয়ার কথা৷ কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও যথেষ্ট উৎপাদন না থাকায়, ২০২২ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাদের৷

https://p.dw.com/p/3OfOa
Musikkorp
ছবি: imago images/G. Alabiso

বিশ্বের যে কোনো উন্নত সামরিক বাহিনীর ন্যূনতম প্রয়োজনগুলির একটি সামরিক পোশাক, যার মধ্যে যুদ্ধে ব্যবহৃত জুতাও রয়েছে৷ ন্যাটোর সদস্য জার্মানির সেনাবাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার' ইউরোপের অন্যতম আধুনিক  সেনাবাহিনী৷ কিন্তু ‘বুন্ডেসভেয়ার' সদস্যদের যুদ্ধের উপযোগী জুতা পেতে করতে হবে অন্তত ছয় বছর অপেক্ষা!

ফলে, বিপক্ষ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধেক্ষেত্রে লড়তে কতটা তৈরি তারা, সেবিষয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে৷

২০১৬ থেকেই আলোচনায় উঠে আসছে দুই ধরনের নতুন জুতার প্রয়োজনীয়তা৷ ‘অল সিজন' বা দৈনন্দিন ব্যবহারের জুতার পরিবর্তে একটি ‘হেভি কমব্যাট' বা ভারী লড়াইয়ের জুতা৷ আরেকটি ‘লাইট কমব্যাট' বা হালকা লড়াইয়ের বুট৷

২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবার কথা ছিল এই দুই ধরনের বুট সেনাসদস্যদের জন্য প্রস্তুত করা৷ কিন্তু জার্মান দৈনিক ডেয়ার স্পিগেল জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০২২ সালের আগে এই কাজ শেষ হবে না৷ কারণ হিসাবে তারা বলেছে যথেষ্ট পরিমাণে যুদ্ধের বুট উৎপাদনের ব্যর্থতার কথা৷ উঠছে কাগজপত্রের জটিলতার কথাও৷

এক লাখ ৮৩ হাজার সেনাসদস্যের মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য এখন পর্যন্ত শুধু হেভি কমব্যাট বুটই পেয়েছেন৷ বাকিরা তা পাননি৷ লাইট কমব্যাট বুট পেয়েছেন মাত্র ৩১ হাজার জন৷

এই নিয়ে আবার আলোচনায় জার্মান সেনাসদস্যদের জীবনযাত্রার মান৷ কমিশনার ফর আর্মড ফোর্সেসের পক্ষে হানস পেটার বারটেলস বলছেন, ‘‘যতদিনে সব সদস্যের কাছে পৌঁছবে দুই জোড়া জুতা, ততদিনে এখনকার জুতাগুলি পুরোনো হয়ে যাবে৷ ফলে, কিছু সেনাসদস্যদের নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক বলে মনে হতে পারে৷''

চেজ উইন্টার/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য