জিন সংক্রান্ত তথ্য
৯ নভেম্বর ২০১৩সূচনা উত্তর অ্যামেরিকায়৷ প্রকল্পের নাম ‘ওপেন অ্যাক্সেস ডিএনএ প্রজেক্ট'৷ চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির স্বার্থে বিশাল সংখ্যক মানুষের জেনেটিক তথ্য পেতেই এই উদ্যোগ৷ ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের চিকিৎসার স্বার্থে এমন তথ্যভাণ্ডার কাজে লাগতে পারে৷ এতকাল বিচ্ছিন্নভাবে অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বটে, কিন্তু সেই তথ্য সবার নাগালে ছিল না৷
যাঁরা নতুন এই উদ্যোগের ডাকে সাড়া দেবেন, তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে তাঁদের এই তথ্য ‘ফায়ারওয়াল'-এর আড়ালে গোপন রাখা হবে না৷ সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে এই তথ্যভাণ্ডার৷ ফলে গবেষণার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা থাকবে না৷ দ্রুত কাজে নামা যাবে৷ ২০০৫ সালে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের জর্জ চার্চ এই উদ্যোগ শুরু করেছিলেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩,০০০ স্বেচ্ছাসেবী এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন৷
এমন উদ্যোগের উদ্দেশ্য সাধু হতে পারে, তবে বিপদও কম নয়৷ কারণ এই বিশাল তথ্যভাণ্ডারের অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে৷ প্রথমত, কোনো ব্যক্তির জেনেটিক তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন কোনো রোগের কথা জানা যেতে পারে, যা এখনো সনাক্তই করা হয় নি৷ অথবা আল্সহাইমারের মতো রোগের সম্পর্কে পূর্বাভাষও পাওয়া যেতে পারে৷ এই সব তথ্যের ভিত্তিতে জিনে রদবদল ঘটিয়ে পছন্দমতো শিশুর জন্ম দেয়ার প্রচেষ্টাও ঘটতে পারে৷
তবে গোটা প্রক্রিয়া পুরোপুরি স্বচ্ছ রাখতে চান উদ্যোক্তারা৷ অর্থাৎ কেউ স্বেচ্ছায় নিজের জিন সংক্রান্ত তথ্য দিতে চাইলে তাকে এমন সব ঝুঁকি সম্পর্কে আগেভাগেই জানানো হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, এক অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের প্রমাণ দিতে হবে, যে সবকিছু বুঝেশুনেই তারা এই কাজ করছে৷ ১৮ বছরের কম বয়স্ক কেউ এই প্রকল্পে অংশ নিতে পারবে না৷ তারপর তাদের জেনোম বিশ্লেষণ করার চার সপ্তাহ পর্যন্ত নতুন করে ভেবে দেখার সুযোগ পাবে স্বেচ্ছাসেবীরা৷ তারপরেও রাজি থাকলে তবেই অনলাইন তথ্যভাণ্ডারে স্থান পাবে সেই জেনোম৷
এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)