জি-২০ বৈঠক উপলক্ষে সেজে উঠেছে দিল্লি
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩১৯৮৩ সালে হয়েছিল নির্জোট সম্মলেন। ৬০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-সহ ১৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন দিল্লিতে। বিজ্ঞান ভবনে ফিদেল কাস্ত্রোর কাছ থেকে নির্জোট আন্দোলনের সভাপতিত্বের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ৪০ বছর পর দিল্লির প্রগতি ময়দানে বসছে জি-২০দেশগুলির শীর্ষনেতাদের বৈঠক। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানরা আসছেন দিল্লিতে। রাজধানীকেও তাই সাজানো হয়েছে নতুন করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের মাক্রোঁ. যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ একের পর এক অতিথি এসে পৌঁছাবেন বৃহস্পতিবার রাত থেকে। এই বৈঠকের জন্য দিল্লির প্রগতি ময়দানকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। আগে প্রগতি ময়দান ছিল স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গন। সেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, বইমেলা থেকে শুরু করে অসংখ্য মেলা হতো। প্রতিটি রাজ্যের আলাদা প্যাভিলিয়ন ছিল। সেসব ভেঙে তৈরি করা হয়েছে বিশ্বমানের কনভেনশন সেন্টার। যার নাম ভরত মণ্ডপম। সেখানেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন হবে।
অসংখ্য গাড়ি আসবে। তার পার্কিংয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে ভূগর্ভস্থ পথ ও তার একপাশে পার্কিং লট। সেই ভূগর্ভস্থ পথের দুই ধারে দেওয়ালচিত্র বা গ্রাফিটি। তবে শুধু ভূগর্ভস্থ পথেই নয়, যে জায়গা দিয়ে অতিথিরা আসা-যাওয়া করবেন, সেখানেও দেওয়ালচিত্রে ভরিয়ে দেয়া হয়েছে। ঝকঝকে রাস্তা হয়েছে।
সন্ধ্যার পর আলোয় সেজে উঠছে রাজধানী। রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ, ইন্ডিয়া গেট, প্রগতি ময়দান, বিমানবন্দরের রাস্তা-সহ বিশাল এলাকায় লাগানো হয়েছে আলো। সেই মায়াবী আলোয় দিল্লি এখন মোহময়ী।
ভারত যে জি-২০ উপলক্ষে শুধু তার উন্নয়নের শক্তি দেখাতে চায় তাই নয়, দেখাতে চায় সাস্কৃতিক ঐতিহ্যও। সেজন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। তারো প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
কিন্তু প্রদীপের নিচে সবসময়ই অন্ধকার থাকে। এখানেও অভিযোগ উঠেছে, জানুয়ারির পর থকে মধ্য দিল্লির প্রচুর ঝুপড়ি, ঝুগ্গি ভেঙে দেয়া হয়েছে। মানুষদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, বেআইনি দখলদারদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি সক্রিয় হয়ে প্রতিবাদও জানিয়েছে। তাদের দাবি, সবাই কর দেন। সেই করের টাকায় এই বিলাসবহুল আয়োজন করা হচ্ছে। সেই টাকাতেই গরিবদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
জি-২০ বৈঠক হবে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর। তার আগে থেকেই অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। তাই ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির একটা বড় অংশ বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে বাজার, দোকানপাটও।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)