জার্মানির সহায়তা চাইলেন হংকংয়ের অ্যাক্টিভিস্ট
৩ জুলাই ২০২০আধা-স্বায়ত্বশাসিত হংকংয়ে বিক্ষোভ-সহিংসতা চলছে কয়েক মাস ধরেই৷ আন্দোলনকারীদের দাবি হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে চীনের অধীনে নিয়ে আসতেই এই নতুন আইন৷ জার্মান দৈনিক বিল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্দোলনের কর্মী জশোয়া উওং বলেন, ‘‘আমি জার্মান সরকারকে বলছি, হংকংয়ে কী ঘটছে দেখুন, সত্যি কথাটা বলুন৷''
তিনি বলেন, গনতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনে ‘ইউরোপের সমর্থন প্রয়োজন'৷
এ সপ্তাহের শুরুতে ২৩ বছর বয়সি উওং ডোমোসিসতো নামের একটি গণতন্ত্রপন্থি গ্রুপের শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ান৷ তার ভয় ছিল নতুন এই আইনের ফলে প্রতিষ্ঠানটিই টার্গেটে পরিণত হতে পারে৷ অবশ্য পরে সংগঠনটিই বিলুপ্ত করে দেয়া হয়৷
তবে উওং বিল্ডকে জানান, তিনি হংকংয়েই থাকবেন এবং গণতন্ত্রের আন্দোলনে সামনের কাতারেই থাকবেন৷
অনেকে হংকং ছাড়ছেন
উওং হংকংয়ে থাকার প্রত্যয়ের কথা জানালেও তার সহআন্দোলনকারীদের অনেকেই হংকং ছেড়ে চলে যাচ্ছেন৷ ডোমোসিসতোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাথান ল জানিয়েছেন, তিনি শহর ছেড়ে চলে যাবেন৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নতুন আইন ‘আন্দোলনকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে৷'
চীন বলছে এই আইন বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাস ও বিদেশি শক্তির ষড়যন্ত্র ঠেকানোর জন্য করা হয়েছে৷ কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন খুব সহজেই এই আইনের বিভিন্ন ধারার মাধ্যমে আধা-স্বায়ত্বশাসিত শহরটিতে চীনা মতের বিরোধিতাকারী যে কাউকে দমন করা সম্ভব৷
বুধবার নতুন আইনের অধীনে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়৷
ডেমোসিসতো দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আসছে৷ ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত একটি ব্রিটিশ শাসনে উপনিবেশ হিসেবে ছিল হংকং৷ এরপর তা চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ ব্রিটেন ও চীনের মধ্যে চুক্তি অনুসারে হংকংকে কিছু স্বায়ত্বশাসন ও জনগণের জন্য বিশেষ অধিকার দিয়ে ‘এক দেশ, দুই নীতি' চালু করে চীন৷ নতুন আইনকে সেই চুক্তির লঙ্ঘন বলে মনে করেন আন্দোলনকারীরা৷
এডিকে/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)