ব্রাজিলে বন সংরক্ষণ
১০ মে ২০১৪ব্রাজিলের জঙ্গলে ব্যস্ত জীববিজ্ঞানীরা৷ তাঁদের শেষ কাজ প্রজাপতির ফাঁদ প্রস্তুত করা৷ কোনো লিখিত নির্দেশিকা নেই৷ কারণ শুধু বিজ্ঞানীরা নয়, ভবিষ্যতে এখানকার মানুষকেও তথ্য সংগ্রহের কাজ করতে হবে৷ প্রজাপতিদের থেকেও ইকো সিস্টেমের অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়৷ কলা ও আখের টোপ দিয়ে তাদের আকর্ষণ করা হচ্ছে৷ এই পদ্ধতি সত্যি কাজে দেয়!
বায়ো-মনিটরিং-এর পথিকৃৎ হিসেবে জীববিজ্ঞানীরা গর্বিত৷ বায়োলজিস্ট নায়ারা স্টাচেস্কি বলেন, ‘‘মাটো গ্রসো প্রদেশে এখনো অনেক জায়গায় মানুষের পা পড়েনি৷ তাদের সুরক্ষার কাজে আমি সামান্য অবদান রাখতে পারি৷ শুধু এই অঞ্চল বা ব্রাজিলের স্বার্থে নয়, গোটা বিশ্বের স্বার্থে৷ এটা আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷''
সকালে ন্যাশানাল পার্কের দপ্তরে মিটিং বসেছে৷ কয়েক মাস পর ইকো সিস্টেমের অবস্থান সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যাবে৷ এই সংরক্ষিত অঞ্চলে ৩টি এলাকা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ প্রতি ছয় মাস অন্তর সেখানে তথ্য সংগ্রহ করা হয়৷ তথ্যগুলির মধ্যে তুলনা করে ফলাফল পাওয়া যায়৷
ফাঁদে কত প্রজাপতি ধরা পড়লো, তা দেখতে হবে৷ পথে চোখে পড়ে নানা প্রাণী৷ যেমন আর্মাডিলো, যা খুব বিরল দৃশ্য৷ পিঁপড়া-খেকো ভালুকও এখানে থাকে৷ লুপ্তপ্রায় প্রাণী হিসেবে এদেরকে ধরা হয়৷ জঙ্গলের গভীরে বিজ্ঞানীরা জিপিএস প্রযুক্তির সাহায্যে প্রজাপতির ফাঁদগুলি খুঁজছেন৷ কাজটা তাড়াতাড়ি করতে হবে৷ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে৷ জালে অনেক প্রজাপতি ধরা পড়েছে৷ কোন প্রজাতির কত সংখ্যক প্রজাপতি, তা গোনা হচ্ছে৷ তারপর অবশ্যই তাদের আবার মুক্তি দেওয়া হয়৷ বৃষ্টির তেজ বাড়ছে৷ বায়ো-মনিটরিং-এর প্রথম পরীক্ষা একেবারে ঠিক সময়ে শেষ হলো৷ এবার গোটা দেশেই এর প্রয়োগ করা সম্ভব৷
জিআইজেড-এর ইয়ান ক্লাইনে ব্যুনিং বলেন, ‘‘প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষই গোটা দেশে ৩১৩টি সংরক্ষিত এলাকার তত্ত্বাবধান করে৷ সেগুলির সীমানা বাড়িয়ে আশেপাশের এলাকাও তার আওতায় আনাটাই উদ্দেশ্য৷ যে সব রাজ্যের আগ্রহ ও ক্ষমতা রয়েছে, তারাও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারে৷ এটা জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন৷''
ব্রাজিলে জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষাই মূল উদ্দেশ্য৷ সেরা দা বোদোকেনা-র এই জঙ্গলেই বিশাল এই প্রকল্পের সূচনা ঘটেছে৷