জার্মানি পরীক্ষিত বন্ধু: সরকার
১ এপ্রিল ২০১৪গত নভেম্বরে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আলী সরকার৷ এমন এক সময় তিনি এই দায়িত্ব নেন, যখন বাংলাদেশ চলছিল নির্বাচনকেন্দ্রীক চরম অস্থিরতা৷ ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় বাংলাদেশে প্রাণ হারায় পাঁচ শতাধিক মানুষ৷ ফলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ৷
ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত ভিডিও সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত সরকার জানান, নির্বাচনের আগে সবার মধ্যে উৎকণ্ঠা ছিল৷ আর সেই উৎকণ্ঠা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ৷ কিন্তু এটা কখনো রাজনৈতিক পর্যায়ে এমনভাবে যায়নি যাতে আমাদের কর্মপ্রবাহকে বিক্ষিপ্ত করতে পারে৷
জার্মানির হ্যার্নে শহরে অনুষ্ঠিত আর্ন্তজাতিক অর্থোপেডি সম্মেলনের ফাঁকে ২৮ মে ডয়চে ভেলের মুখোমুখি হন রাষ্ট্রদূত সরকার৷ বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর যখন শান্ত অবস্থা দেশে প্রায় ফিরে এসেছে, তারপর আমি আর জার্মানির পক্ষ থেকে কোনো উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করিনি৷ যদিও তারা সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে আমাদের নির্বাচনের গতিধারা কিভাবে যাচ্ছে, জনগণ কতটা মেনে নিতে পারছে অথবা কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা – এটা তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছে, কিন্তু আমি কোনো উৎকণ্ঠা দেখিনি৷''
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে৷ জার্মান সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও আশ্রয়প্রার্থীরা বাংলাদেশি কিনা তা নিশ্চিত নন রাষ্ট্রদূত৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের সম্পূর্ণ শনাক্ত করতে পারিনি৷ তার কারণ একই ভাষাভাষী এবং একই ধরনের সাদৃশ্য আছে এমন মানুষ রয়েছে বাংলাদেশের আশেপাশের দেশগুলোতে৷''
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আলী সরকার এর আগে নেদারল্যান্ডসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ তার আগে দীর্ঘদিন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে উপস্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন৷
সাক্ষাৎকার: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ