জার্মানির ‘লুফৎহানসা' ফ্লাইটে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা
৬ নভেম্বর ২০১৪এর গতি আবার এমন যে যাত্রীরা বিমানে বসে টিভিও দেখতে পাচ্ছেন৷ বলা বাহুল্য, পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা সফল হওয়ার পরই জার্মানির বৃহত্তম এয়ারলাইন্স এই সেবা চালু করেছে৷ তথ্য আদানপ্রদানের গতি এত ভালো, যে অনলাইনে টেলিভিশনও দেখা যাচ্ছে৷
বিমানের উপরে বসানো স্যাটেলাইট অ্যান্টেনা থেকে তথ্য বিমানের ভেতরে আসে৷ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যে গতির ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে, বিমানেও সে ধরনের গতি দেয়ার সামর্থ্য খুব কম এয়ারলাইন্সেরই রয়েছে৷ একেকটি বিমানের জন্য লুফটহানসা ছয় ডিজিট অংকের সমপরিমাণ ইউরো বিনিয়োগ করেছে৷
এর মাধ্যমে তারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চায়৷ কারণ এমনিতেই বিমান ভাড়া নির্ধারণে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে৷ লুফৎহানসা-র এক কর্মকর্তা মিশায়েল লামব্যারটি বলেন, ‘‘বিমান পরিবহণ শিল্পে লাভের পরিমাণ এমনিতেই কমে এসেছে৷ তাই আমরা ব্যবসার জন্য অন্যান্য উপায় ব্যবহার করছি৷ ফ্লাইটে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া তারই একটি অংশ৷ এর মাধ্যমে আমরা পুরনো ক্রেতা ধরে রাখার পাশাপাশি নতুনদেরও আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি৷ সেটা যদি হয় বিজেনস ক্লাসের, তাহলে তো আরও ভালো৷''
ইতিমধ্যে বার্লিনে পরবর্তী ধাপ নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গেছে, যার নাম ‘তারহীন ইন্টারনেট'৷ এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও মাঝারি পাল্লার ফ্লাইটে ওয়াইফাই যন্ত্র বসিয়ে যাত্রীদের ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া যায়৷
লামব্যারটি বলেন, ‘‘বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ যাত্রীর স্মার্টফোন কিংবা নোটবুক থাকে৷ ওয়াইফাই-এর মজা হচ্ছে, এর ফলে প্রতিটি সিটের সামনে আপনাকে ‘ডিসপ্লে মনিটর' বসাতে হচ্ছে না৷ এর পরিবর্তে ওয়াইফাই-এর মাধ্যমে যাত্রীদের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে সবকিছু সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হবে৷ এতে করে বিমানের ওজনও কম হবে৷''
এই নতুন প্রযুক্তি প্রায় ৩০০ কেজি ওজন কমাবে৷ এর ফলে একটি বিমান বছরে প্রায় ৫০ টন কম জ্বালানি ব্যবহার করবে৷ পুরো ‘ফ্লিট' হিসেব করলে পরিমাণটা হবে কয়েক মিলিয়ন৷
এটা এমন এক সুবিধা, যেটা অন্য এয়ারলাইন্সগুলো দেখে নিজেরাও ব্যবহার করতে চাইছে৷