জার্মানির যা দেখতে পারেন রুপালি পর্দায়
জার্মানির বড় শহরগুলোতে ঘুরতে গেলে মাঝে মাঝেই ফিল্ম ক্রুদের দেখা মেলে৷ হাঁটতে হাঁটতে হয়ত শুনতে পাবেন ‘অ্যাকশন’ শব্দটি৷ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে জনপ্রিয় জার্মানির কিছু লোকেশন দেখে নেই চলুন৷
যে শহরটি দেখা উচিত
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অসংখ্য ছবির শ্যুটিং হয়েছে৷ তাই বার্লিনের ‘গোল্ডেন এঞ্জেল’ ল্যান্ডমার্কটি এখন শুধু চলচ্চিত্রের কারণেও অনেকের কাছে পরিচিত৷
স্পিলবার্গের ছবিতে থাকছে এই সেতুটি
অতীত ইতিহাস থেকে এখনো পয়সা আয় করছে বার্লিন৷ সম্প্রতি স্টিভেন স্পিলবার্গ এবং টম হান্কস শীতলযুদ্ধের সময়কার গোয়েন্দা-কাহিনি নিয়ে তৈরি একটি ছবির শ্যুটিং করেছেন বার্লিনে৷ পটসডামের গ্লাইনিকে সেতুটি ছবির লোকেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷
ছবিতে ক্রয়েৎসব্যার্গ জেলা
সাবেক পশ্চিম জার্মানি নিয়ে তৈরি অনেক ছবির একটি ‘‘হের লেহমান’’৷ ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি স্ভেন রেগেনার-এর উপন্যাসের কাহিনির ভিত্তিতে তৈরি৷ বার্লিনের ক্রয়েৎসব্যার্গ জেলায় ছবিটির শ্যুটিং হয়েছে৷
বার্লিনেও মস্কোর দেখা মেলে
চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অনেক কিছু অফার করতে পারে বার্লিন৷ বাবেল্সব্যার্গের স্টুডিওগুলো তাদের জন্য আদর্শ৷ এমনকি বার্লিনে শ্যুট করা অনেক ছবি দেখে বোঝাই যাবে না সবকিছু লোকেশনে শ্যুট করা হয়নি৷
হামবুর্গে জেমস বন্ড
জেমস বন্ডকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে থাকতে দেখা গেছে৷ সেরকম এক স্থান হামবুর্গের ‘আটলান্টিক’ হোটেল৷ ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্ড সিরিজের ‘‘টুমরো নেভার ডাইস’’ ছবিতে হোটেলটি দেখানো হয়েছে৷
ফিল্ম সিটি গ্যোর্লিৎস
জার্মানির সবচেয়ে পূর্বে অবস্থিত টাউনটি যুদ্ধের সময় অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ তবে শহরটিকে সেই ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থাতেই সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷ অনেক ছবির পটভূমিতে শহরটি দেখানো হয়েছে৷
রাজার বিভিন্ন দুর্গ
বাভারিয়া রাজ্যের নয়েশোয়ানস্টাইনেও রয়েছে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে৷ বিশেষ করে ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লুডভিগ ২’ ছবিতে রাজার বিভিন্ন দুর্গ দেখানো হয়েছে যার মধ্যে এটিও আছে৷