বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যে
১৫ জুলাই ২০১৪জার্মান ফুটবল দল কোনো ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়৷ তাদের নেই মেসি, নেইমার বা রোনাল্ডোর মতো তারকা৷ জার্মানদের কৌশলও আসলে ব্যক্তিনির্ভর নয়৷ বরং পুরো দলকেই তারা তৈরি করে লড়াইয়ের উপযোগী করে৷ এজন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয় প্রতিটি খেলোয়াড়কে, অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয় কোচের নির্দেশনা৷ রবিবার রাতে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তোলে জার্মানরা৷ এই দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই গত বিশ্বকাপে খেলেছে৷ আর সেবার তারা কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির দলকে হারায় ৪-০ গোলে৷
জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় সংকট কাটাতে ২০০০ সালে নতুন উদ্যোগ নেয় জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ডিএফবি৷ শুরু হয় দেশব্যাপী মেধা খোঁজার কর্মসূচি৷ পরবর্তীতে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন জার্মান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান৷ বর্তমান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তখন তাঁর সহকারী৷ কিন্তু ২০০৬ সালে ক্লিন্সমান জাতীয় দল ত্যাগ করেন৷ তখন ল্যোভ পুরো দায়িত্ব পান৷ তবে বিশ্বকাপ জয়ের রাতেও ল্যোভ স্বীকার করেছেন ক্লিন্সমানের অবদানের কথা৷ কেননা নতুন এক জার্মান দল গড়ার কাজ তিনিই শুরু করেছিলেন৷ আর সেই উদ্যোগ সফলভাবে ধরে রেখে আজ ২৪ বছর পর জার্মানিকে বিশ্বকাপ এনে দিলেন ল্যোভ৷
খেলোয়াড়দের কথাই ধরুন৷ ২০১০ সালে আর্জেন্টিনাকে হারানো দলে ছিলেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার, অধিনায়ক ফিলিপ লাম, পেয়ার ম্যার্টেসাকার, বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার, টোমাস ম্যুলার, মেসুট ও্যজিল, লুকাস পোডোলস্কি এবং মিরোস্লাভ ক্লোজে৷ এদের সবাই কিন্তু রবিবার রাতেও দলে ছিলেন৷
বর্তমান জার্মান দলে অভিজ্ঞ এবং নবীন দলের এক চমৎকার সমন্বয় ঘটানো হয়েছে৷ নবীনরা অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলে নিজেদের প্রমাণ করছেন৷ তারপর সুযোগ পাচ্ছেন জাতীয় দলে৷
জার্মান কোচ ল্যোভের মতে নতুন জার্মান দল সবে শুরুটা করেছে৷ আগামী কয়েক বছর গোটা বিশ্বকে রাজত্ব করার মতো খেলোয়াড় ৫৪ বছর বয়সি এই কোচের ভাণ্ডারে আছে বলেই জানিয়েছেন তিনি৷ ফলে একজন খেলোয়াড় বয়সের কারণে দুর্বল হয়ে গেলে কিংবা বাজে পারফর্ম করলে তাঁর বিকল্প তৈরি থাকছেই৷
এআই / জেডএইচ (ডিপিএ)