1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তৃতীয় স্থানের জন্য লড়াই!

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সোমবার জার্মানির ছোট দলগুলির নেতারা দুটি টেলিভিশন বিতর্কে বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন৷ আগামী সরকারের সম্ভাব্য জোটসঙ্গী হিসেবে তাঁরা যতটা সম্ভব ভোট পেতে তৎপর হয়ে উঠেছেন৷

https://p.dw.com/p/2jM23
জার্মানির ছোট দলগুলির নেতাদের টেলিভিশন বিতর্ক
ছবি: Getty Images/AFP/J. Macdougall

রবিবার রাতে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডি দলের মার্টিন শুলৎস-এর মধ্যে টেলিভিশন বিতর্কে উত্তেজনা ও সংঘাতের অভাব নিয়ে যাঁরা হতাশ হয়েছিলেন, সোমবার ছোট দলগুলির টেলিভিশন বিতর্ক তাঁদের সেই চাহিদা পূরণ করে দিলো৷ মনে রাখতে হবে, জোট রাজনীতির মঞ্চে দুই প্রধান দলের পাশাপাশি তৃতীয় স্থানের জন্য সংগ্রামের গুরুত্বও কম নয়৷ আসন তালিকার শীর্ষস্থানে থাকলেও জোট সরকার গড়তে সংসদে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়, কোনো দলই সাধারণত সেই মাত্রা ছুঁতে পারে না৷ অতএব নির্বাচনে জয় হলেও ম্যার্কেল বা শুলৎস-কে ছোট দলগুলির দিকেই হাত বাড়াতে হবে৷

জনমত সমীক্ষায় বিভিন্ন দলের অবস্থান
জনমত সমীক্ষায় বিভিন্ন দলের অবস্থান

সোমবার দুটি ভিন্ন টেলিভিশন বিতর্কে জার্মানির অপেক্ষাকৃত ছোট রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা ভোটারদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরলেন৷ এর মধ্যে সরকারের শরিক থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে উদারপন্থি এফডিপি ও পরিবেশবাদী সবুজ দলের৷ যথেষ্ট আসন পেলে ম্যার্কেলের শিবিরএফডিপি-র সঙ্গে জোট গড়তে আগ্রহ দেখাবে৷ অন্যদিকে একই অবস্থায় এসপিডি সবুজ দলের সঙ্গে জোট গড়তে চাইতে পারে৷ তবে কৌশলগত কারণে দুই প্রধান দল নির্বাচনি প্রচারে কোনো জোটের পক্ষে সওয়াল করছে না৷

বামপন্থি দল ‘ডি লিংকে' বর্তমানে সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও জোট সরকারে তাদের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা এখনো চরম বিতর্কের কারণ৷ সাবেক পূর্ব জার্মানির স্বৈরাচারী কমিউনিস্ট পার্টির উত্তরসূরী হিসেবে এখনো তারা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়৷ তাছাড়া তাদের ঘোষিত অনেক নীতির মধ্যে এমন কিছু বিষয় আছে, যা জার্মানির বর্তমান কাঠামোয় অবাস্তব বলে মনে করা হয়৷ ফলে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল এখনো তাদের সম্ভাব্য জোটসঙ্গী হিসেবে প্রকাশ্যে তুলে ধরতে পারছে না৷

সাম্প্রতিক কালে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল রাজ্য স্তরে যথেষ্ট নির্বাচনি সাফল্যের পর প্রথম বার সংসদে প্রবেশ করার স্বপ্ন দেখছে৷ শরণার্থীদের আগমনের ফলে জার্মানির নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, তাদের এই সমালোচনা কিছু ভোটারদের মনে ধরেছে৷ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী তারা এর জন্য প্রয়োজনীয় ৫ শতাংশের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারবে৷ অন্য কোনো দল অবশ্য তাদের সঙ্গে জোট গড়তে প্রস্তুত নয়৷

ম্যার্কেল-শুলৎস বিতর্কের মতো বাকি দুই মঞ্চেও শরণার্থী ও অভিবাসনের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে৷ বিশেষ করে এএফডি দল জার্মানির দ্বার বহিরাগতদের জন্য প্রায় বন্ধ করার জন্য বাকিদের আহ্বান জানিয়েছে৷ বাম ও সবুজ দল মানবিক কারণে শরণার্থীদের আশ্রয় দেবার পক্ষে৷ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করতে কী করা উচিত, তা নিয়েও তুমুল বিতর্ক হয় ছোট দলগুলির নেতাদের মধ্যে৷ তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জের মুখে পুলিশ বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর বিষয়ে সবাই একমত৷ এছাড়া কর্মসংস্থান, ন্যুনতম বেতন, অবসর ভাতা, স্বাস্থ্য বিমার মতো বিষয় নিয়েও তাঁরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)