জার্মানির আট টেকসই পর্যটন গন্তব্য
টেকসই পর্যটন মানে হচ্ছে যেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশ ও স্থানীয় জনগণের ভালোমন্দের দিকে খেয়াল রাখা৷ তেমনি পর্যটক হিসেবে আপনার চাহিদা পূরণে স্থানীয়দের লক্ষ্য রাখার বিষয়টিও টেকসই পর্যটনের অন্তর্গত৷
রামসাউ
জার্মানির বাভারিয়া রাজ্যে আল্পসঘেরা গ্রাম রামসাউ দেশটির অন্যতম টেকসই ছুটি কাটানোর জায়গা৷ স্থানীয়রা নিকটবর্তী ব্যার্শটেসগাডেন ন্যাশনাল পার্ক রক্ষায় সবসময় সচেষ্ট থাকেন৷ এছাড়া এই গ্রামকে ক্লাইমেটিক হেল্থ রিসর্ট ঘোষণা করা হয়েছে৷ এর মানে হচ্ছে এই গ্রামের পরিবেশ ও বাতাস স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী৷ অসুখ থেকে সেরে ওঠার জন্য এমন গ্রাম খুব ভালো৷
লেক ক্যোনিগসজি
রামসাউয়ের কাছে অবস্থিত লেক ক্যোনিগসজি৷ বিদ্যুৎচালিত নৌকা করে এই লেক দিয়ে প্রখ্যাত সেন্ট বার্তোলোমেউস চার্চ ও ভিটেলসবাখার হান্টিং শাতোতে যাওয়া যায়৷
সোয়াবিয়ান আলব
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত এই মাউন্টেন রেঞ্জকে বছর কয়েক আগে জার্মানির সবচেয়ে টেকসই পর্যটন গন্তব্যস্থল হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ ঐ এলাকায় থাকা দেড়শর বেশি হলিডে রিসর্টে থাকার বুকিং দিলে বিনামূল্যে স্থানীয় বাস, ট্রেন ও দর্শনীয় স্থানে ঘোরা যায়৷
ফ্রাইবুর্গ
লোনলি প্ল্যানেট ফ্রাইবুর্গকে ২০২২ সালের সেরা গন্তব্যের তালিকায় রেখেছে৷ ফ্রাইবুর্গকে এই তালিকায় রাখার অন্যতম কারণ সেখানকার পরিবেশবান্ধব নীতি৷ যেমন পুরনো শহরে গাড়ি ঢুকতে পারে না৷ আর শহর জুড়ে অনের পার্ক দেখা যায়৷
সারলান্ড
পশ্চিমাঞ্চলীয় এই রাজ্য জার্মানির প্রথম টেকসই গন্তব্য৷ বর্তমানে এই রাজ্যের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা পরিবেশগত নিরাপত্তার অন্তর্গত৷
ওয়াইন রুট
রাইনলান্ড-পালাটিনেট রাজ্যের এই রুট জার্মানির অন্যতম পুরনো দর্শনীয় স্থান৷ ৮৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে বেশ সুন্দর৷ চলার সময় পথের ধারে পুরনো প্রাসাদ দেখা যায়৷ আছে বন আর আঙুরের খেতে ঢাকা পাহাড়৷ এছাড়া পথের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় মাটি ও আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানানোর ব্যবস্থা আছে৷ এগুলো ওয়াইন উৎপাদনে কী ভূমিকা রাখে তাও জানা যায়৷
আইফেল ন্যাশনাল পার্ক
আলোর দূষণ কম থাকায় এই এলাকা তারা দেখার জন্য উপযুক্ত৷ প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য পার্কের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করা আছে৷ পার্কে থাকা হোটেল কিংবা হলিডে হোমে বুকিং দিলে বিনামূল্যে স্থানীয় গণপরিবহনে চড়ার টিকিট দেয়া হয়, যেন আপনাকে ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়তে না হয়৷
ভার্টবুর্গ হায়নিশ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ রিজিয়ন
প্রায় হাজার বছরের পুরনো টুরিঙ্গিয়ার ভার্টবুর্গ ক্যাসেল ও হায়নিশ ন্যাশনাল পার্ক ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত৷ ঐ এলাকার অনেক হোটেল টেকসই নীতিতে চলার অঙ্গীকার করেছে৷