1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা বন্ধ

১১ অক্টোবর ২০২১

করোনা টিকাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলায় জার্মানির সরকার বেশিরভাগ মানুষের জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করলো৷ সমালোচকদের মতে, এর ফলে শীতের মাসগুলিতে সংক্রমণের হার আরও বাড়তে পারে৷

https://p.dw.com/p/41VfL
Berlin | Döner-Kebab-Restaurant | COVID-19-Impfungen
ছবি: Michele Tantussi/REUTERS

জনসাধারণের কাছে করোনা টিকা পৌঁছে দেবার আগে জার্মানির সরকার চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে সবার জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল৷ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় গিয়ে পরিচয়পত্র দেখিয়ে সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই বার এমন পরীক্ষার সুযোগ গ্রহণ করেছেন জার্মানির অনেক মানুষ৷ নেগেটিভ ফল দেখিয়ে সাধারণত ২৪ ঘণ্টার জন্য অনেক জায়গায় প্রবেশের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে৷ ফলে টিকাপ্রাপ্ত ও করোনাজয়ীদের মতো এই করোনা টেস্টের নেগেটিভ ফল দেখিয়ে বাকি মানুষ সাময়িক হলেও অবাধ সুযোগসুবিধা পেয়ে এসেছে৷ সংক্রমণের হার কমে চলায় অনেক বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে৷

সোমবার থেকে আর সেই সুযোগ পাবেন না জার্মানির বেশিরভাগ মানুষ৷ এমন পদক্ষেপের ব্যাখ্যা করে সরকার জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে জনসংখ্যার একটা বড় অংশের জন্য বিনামূল্যে করোনা টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করলে টিকার প্রমাণ দেখিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁর মতো বদ্ধ জায়গায় প্রবেশাধিকার পেতে পারেন মানুষ৷ তাই যারা সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা নিতে প্রস্তুত নন, তাদের জন্য করদাতাদের অর্থে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার কোনো যুক্তি আর নেই৷ নিজেদের সিদ্ধান্তের পরিণাম হিসেবে এবার থেকে তাদের নিজের পকেট থেকেই করোনা পরীক্ষার মাসুল গুনতে হবে৷ তবে যে সব মানুষ বয়স বা শারীরিক কারণে টিকার আওতার বাইরে রয়েছেন, তাদের উপর মাসুল চাপানো হবে না৷ যেমন ১২ বছরের কম বয়সি শিশু-কিশোর বা দুর্বল প্রতিরোধশক্তি সম্পন্ন মানুষ৷ এমন ব্যতিক্রমের এক বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করেছে জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷

বলা বাহুল্য এমন সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিতর্ক কম নয়৷ সুযোগ সত্ত্বেও করোনা টিকা নিতে প্রস্তুত নয় এমন মানুষের ক্ষোভ তো রয়েছেই৷ সেইসঙ্গে কিছু বিশেষজ্ঞও এমন সিদ্ধান্তের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ আর্থিক কারণে করোনা পরীক্ষা কমে গেলে সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসকদের এক সংগঠন৷ বিশেষ করে শীতের মাসগুলিতে এমনিতেই যখন করোনা সংক্রমণের হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, ঠিক সে সময়ে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তাঁরা৷

অন্যদিকে বিনামূল্যে করোনা টেস্ট বন্ধ হওয়ার কারণে আরও অনেক মানুষ করোনা টিকা নিতে এগিয়ে আসবেন বলে আশা করছেন সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দলের কার্ল লাউটারবাখের মতো কিছু বিশেষজ্ঞ৷ সপ্তাহান্তেই অনেক শহরে টিকা নিতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠা অনেক মানুষও ছয় মাসের ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হবার আগে টিকা নিতে এগিয়ে আসছেন৷ তবে জার্মানিতে সত্যি কত মানুষ করোনা টিকার সব প্রয়োজনীয় ডোজ নিয়েছেন, সে বিষয়ে বিভ্রান্তি থাকায় সমালোচনা বাড়ছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের হিসেব অনুযায়ী সেই হার প্রায় ৬৫ শতাংশ হলেও বাস্তবে আরও অনেক মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য