জার্মানিতে বাঙালির ঈদ শপিং
ঈদ মানেই আনন্দ৷ আর কেনা-কাটা ছাড়া কি সে আনন্দ পূর্ণতা পায়? হ্যাঁ, জার্মানিতে ঈদ উদযাপন করতে বাঙালিরা কেমন শপিং করেন, চলুন তা দেখে নেয়া যাক ছবিঘর থেকে৷
নতুন শাড়ি ছাড়া কি ঈদ হয়?
আজকের যুগে বাঙালি নারী প্রায় সব পোশাকই পরেন৷ তবে শাড়ির তুলনা শুধু শাড়ি-ই৷ তাছাড়া ঈদ বলে কথা! শিল্পী আহমেদ কোলন ছেড়ে বাণিজ্য নগরী ফ্রাংকফুর্ট শহরের বড় দোকানে গেছেন ঈদের কেনা-কাটা করতে৷
জমকালো শাড়ি
পুত্রবধুর জন্য পছন্দ করছেন জমকালো শাড়ি৷
দেশীয় দোকান
জার্মানির বড় ছোট অনেক শহরেই আজকাল বাংলাদেশি ও ভারতীয় দোকান রয়েছে৷ যেখানে শুধু দেশীয় চাল, ডাল আর মসলা নয়, কাপড়-চোপড়, গহনার মতো আরো অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া যায়৷
জার্মান নারীর ঈদের শপিং
জার্মানির কোলন শহরের একটি দোকানে জার্মান নারী বিয়াঙ্কা সালোয়ার কামিজ পছন্দ করে পরে ফেলেছেন ৷ এখন চাই ম্যাচিং জুতো আর ব্যাগ৷ বিয়াংকা ও তাঁর বাঙালি স্বামী প্রতি বছরই নিজেদের বাড়িতে বিভিন্ন দেশের মুসলমান বন্ধুবান্ধব ও তাঁদের পরিবারদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেন৷
বিশেষ ড্রেস
ফ্রাংকফুর্টের একটি দোকানের শো-কেসে শোভা পাচ্ছে কাজ করা সুন্দর লেহেঙ্গা৷ তবে খুব বেশি বিক্রি হয় বলে মনে হয় না৷ যেগুলোর মূল্য তিনশ’ ইউরো থেকে শুরু, অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকা৷ তবে ঈদ এবং দোকানের ঠিকানা পরিবর্তন হওয়া উপলক্ষ্যে পোশাকগুলোতে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছে৷
দেশি গহনা
শুধু বাঙালি নয়, এ সব দোকানে কিন্তু বিদেশিদেরও বেশ ভিড় জমে৷
বিদেশিদেরও পছন্দ
আজকাল জার্মানির রাস্তাঘাটে বিদেশি তরুণীদের অনেক সময় সালোয়ার কামিজ বা দেশি ইমিটেশনের গহনা পরে ঘুরতেও দেখা যায়৷ এ সব গহনার মূল্য জার্মান দোকানের গহনার চেয়ে কিছুটা কম৷
শিশুদের পোশাক
পেছন ফিরে তাকালে মনে পড়ে, ছেলেবেলার ঈদের আনন্দের কথা যার কোনো তুলনাই হয় না৷ বিশেষ করে জামা, জুতোর কথা, যা ছিল ‘ঈদের দিনের চমক’৷ অর্থাৎ আগে থেকে কাউকে দেখানো যাবে না৷ কিন্তু বিদেশে জন্ম হওয়া শিশুরা ঈদের আনন্দ সেভাবে বোঝে না৷
খাবার-দাবার
ঈদের কেনা-কাটায় কি শুধু শাড়ি-গহনা থাকলে হবে? ঈদের দিনে যে চাই মজাদার খাবারও৷
পোলাও
কালিজিরা চালের পোলাওয়ের স্বাদই আলাদা! দেশের পোলাওয়ের সে স্বাদ যেন মুখে লেগে আছে৷ তাই অনেকেই ঈদের দিনের বিশেষ পোলাওটি এই মিহিদানা চাল দিয়েই রান্না করতে পছন্দ করেন৷
একটু হালিম হলে মন্দ হয় না
এই প্যাকেট করা হালিম দেশে তেমন জনপ্রিয় না হলেও বিদেশে কিন্তু সকলেরই বেশ পছন্দ৷ আর হবে নাই বা কেন? বিদেশে সব কাজ যে নিজেদেরই করতে হয়৷ হ্যাঁ, কম কষ্টে আর সহজ উপায়ে তৈরি করা যায় এই মজাদার হালিম৷
সেমাই ছাড়া কি ঈদের কথা ভাবা যায়?
কেউ পছন্দ করেন জর্দা সেমাই আবার কারো খেতে পছন্দ দুধের সেমাই৷ তবে ঈদের দিন সেমাই কিন্তু চাই-ই চাই, তা যে স্বাদেরই হোক না কেন৷
বাঙালির মিষ্টি
জার্মানির বাংলাদেশি এবং ভারতীয় দোকানগুলোতে প্রায় সব সময়ই মিষ্টি পাওয়া যায়৷ তবে ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের আর স্বাদের মিষ্টি পাওয়া যায় এ সব দোকানে৷ এই মিষ্টিগুলো কখনো লন্ডন থেকে আনা হয় আবার কখনো জার্মানিতেও তৈরি করা হয়৷
লোভনীয় মিষ্টির দোকান
ফ্রাংকফুর্টের এই দোকানে মজার মজার মিষ্টি, সমোসা, সিঙারা ছাড়াও কত কী রয়েছে! সেখানে বসে খেতে পারেন আবার সাথেও নিয়ে যেতে পারেন৷