জার্মানিতে ধর্ষণ, হত্যার অভিযোগ স্বীকার মার্কিন নাগরিকের
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪হামলায় একজন নিহত হন৷ জার্মানির অন্যতম পর্যটন গন্তব্য বাভারিয়া রাজ্যের নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গের কাছে গতবছরের ১৪ জুন এই ঘটনা ঘটেছিল৷
জার্মানির কেম্পটেন শহরের আদালতে সোমবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ প্রথমেই অপরাধ স্বীকার করে নেন ঐ ব্যক্তি৷ তার আইনজীবী বলেন, নিজের অপকর্মের জন্য তার মক্কেল ‘খুবই লজ্জিত' এবং তিনি নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷
মার্চের মাঝামাঝি রায় দেওয়া হতে পারে৷
যা ঘটেছিল
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর মার্কিন ঐ দুই তরুণী নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গের কাছে হাইকিংয়ে বের হয়েছিলেন৷ তাদের একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ২২৷ পথিমধ্যে ৩১ বছর বয়সি মার্কিন ঐ নাগরিকের সঙ্গে তাদের দেখা হয়৷ তখন মার্কিন ঐ ব্যক্তি তাদের দুজনকে পাশেই একটি সুন্দর দেখার জায়গা আছে বলে সেখানে নিয়ে যান৷ এরপর ২১ বছর বয়সি মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে তার পোশাক খোলার চেষ্টা করেন৷ তাকে বাধা দিতে গেলে ২২ বছর বয়সি মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ৫০ মিটার গভীর খাদে ফেলে দেন মার্কিন ঐ নাগরিক৷ এরপর ২১ বছর বয়সি মেয়েটি অবচেতন না হওয়া পর্যন্ত তার গলা চেপে ধরা হয় এবং পরে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন৷ ধর্ষণ করার পর এই মেয়েটিকেও খাদে ফেলে দেয়া হয়৷
এরপর ২২ বছর বয়সি মেয়েটি আহত অবস্থায় উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ আর ২১ বছর বয়সি মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানেই তিনি মারা যান৷
মার্কিন ঐ নাগরিকের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণের কারণে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, শরীরে মারাত্মক আঘাত ও নিজের কাছে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন ফাইল রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
সম্পাদকের নোট: ডিডাব্লিউ জার্মান প্রেস কোড অনুসরণ করে৷ এই কোড সন্দেহভাজন অপরাধী বা ভুক্তভোগীদের গোপনীয়তা রক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং তাদের পুরো নাম প্রকাশ করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে বাধ্য করে৷
জেডএইচ/কেএম (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)