1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে দুই ভেড়াকে মারলো ভাল্লুক

২০ এপ্রিল ২০২৩

জার্মানিতে এখন আর ভাল্লুক নেই। তবে প্রতিবেশী দেশ থেকে ঘুরতে ঘুরতে তারা চলে আসে। তেমনই এক ভাল্লুকের কাজ এটা।

https://p.dw.com/p/4QKGL
মিউনিখের ন্যাচরাল হিস্টরি মিউজিয়ামে স্টাফ করে রাখা ব্রুনো।
মিউনিখের ন্যাচরাল হিস্টরি মিউজিয়ামে স্টাফ করে রাখা ব্রুনো। ছবি: AP

গত সোমবার রাতে অস্ট্রিয়ার সীমান্তে ভালুকের পায়ের ছাপ দেখার কথা জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। সব পশুকে ভিতরে রাখার পরামর্শও দিয়েছিলেন তারা। এরপরই ভাল্লুকের আক্রমণে দুইটি ভেড়া মারা যায়।

বাভারিয়ার পরিবেশ সংক্রান্ত রাজ্য অফিস জানিয়েছে, পায়ের ছাপ এবং ভেড়ার দেহের ক্ষতচিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে, তাদের মৃত্যুর জন্য ভাল্লুকই দায়ী।

তবে এই ভাল্লুকটিকে দেখা যায়নি বা সে কোনো মানুষের সামনাসামনি পড়েনি। এই এলাকার পশুপালকদের বলা হয়েছে, তারা যেন রাতের মধ্যে সব পশুকে খামারে নিয়ে যান এবং তাদের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।

জার্মানির ভাল্লুক নেই কেন?

ইউরেশিয়ান ভালুক একসময় ইউরোপের দেশগুলিতে প্রচুর দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু শিকার, মানুষ ও চাষবাস ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার ফলে ভাল্লুক কমতে থাকে।

জার্মানিতে ১৮৩৫ সালে বাভারিয়াতেই শেষবার ভাল্লুকের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে ধরে নেয়া হয়, ভাভাল্লুক জার্মানিতে আর নেই।

তবে ২০০৬ সালের মে মাসে একটা তরুণ ভাল্লুক ইটালি থেকে ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জার্মানিতে এসে হইচই ফেলে দেয়। এই ভাল্লুকটির নাম ছিল ব্রুনো। তার ব্যবহারগত সমস্যা ছিল। সম্ভবত খাবার খুঁজতে খুঁজতে মানুষকে নিয়ে তার ভয় কেটে গেছিল।

তাকে বেশ কয়েকবার ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। পরে শিকারীরা তাকে মারে। তার স্টাফ করা দেহ মিউনিখের ন্যাচরাল হিস্টরি মিউজিয়ামে আছে।

গতবছর গরমের সময় বাভারিয়া কর্তৃপক্ষ ভাল্লুকের থাকার কথা জানিয়েছিলেন। এই ধরনের ভাল্লুক এখন বাভারিয়া থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে ইটালির ট্রেনটিনোতে থাকে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, ডিপিএ)