1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে থেকেই ভোট দিচ্ছেন তুরস্কের নাগরিকরা

২৮ এপ্রিল ২০২৩

জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের মানুষ প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনে ভোট দিতে শুরু করলেন। জার্মানিতে বসেই তারা এই ভোট দিচ্ছেন।

https://p.dw.com/p/4QeiA
জার্মানিতে বসে তুরস্কের নির্বাচনে ভোট দেয়া শুরু করলেন সেখানকার নাগরিকরা।
জার্মানিতে বসে তুরস্কের নির্বাচনে ভোট দেয়া শুরু করলেন সেখানকার নাগরিকরা। ছবি: Rolf Vennenbernd/dpa/picture alliance

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টের নির্বাচন আগামী ১৪ মে। কিন্তু দেশের বাইরে বসবাসকারী নাগরিকরা বৃহস্পতিবার থেকে ভোট দেয়া শুরু করলেন। জার্মানিতে ১৫ লাখ তুরস্কের নাগরিক আছেন। তারা  বৃহস্পতিবার থেকে ভোট দিতে শুরু করেছেন।

এর আগে দেখা গেছে, জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের মানুষ এর্দোয়ানের কট্টর সমর্থক। কিন্তু এবার এর্দোয়ান কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। সমীক্ষা বলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রীতিমতো লড়াই হচ্ছে। কিছু সমীক্ষা এর্দোয়ানকে পিছিয়ে রেখেছে।

জার্মানিতে তুরস্কের মানুষদের ভোট নিয়ে

আগামী ৯ মে পর্যন্ত জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের মানুষ ভোট দিতে পারবেন। জার্মানিতে তুরস্কের মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষ। তার মধ্যে ১৫ লক্ষ মানুষ তুরস্কের নাগরিক। তারাই ভোট দিতে পারবেন।

গতবার জার্মানিতে থাকা ৬৫ শতাংশ তুরস্কের নাগরিক এর্দোয়ানকে ভোট দিয়েছিলেন।
গতবার জার্মানিতে থাকা ৬৫ শতাংশ তুরস্কের নাগরিক এর্দোয়ানকে ভোট দিয়েছিলেন। ছবি: MURAT CETINMUHURDAR/PPO via REUTERS

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তুরস্ককে জানিয়ে দিয়েছে, মোট ১৬টি ভোটকেন্দ্র অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে কখনো এতগুলি ভোটকেন্দ্র হয়নি। ২০১৮ সালে ১৩টি ভোটকেন্দ্র ছিল।

বার্লিন, কোলন, স্টুটগার্ট, নুরেমবার্গ-সহ যে সব শহরে তুরস্কের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা আছেন, সেখানে ভোটকেন্দ্র করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

জার্মানিতে এর্দোয়ানের জনপ্রিয়তা

২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এর্দোয়ান ও জার্মানির মধ্যে বেশ তিক্ততা ছিল। এর্দোয়ান অভিযোগ করেছিলেন, জার্মানি তার প্রচারে বাধা দিচ্ছে।

জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবারও জানিয়ে দিয়েছে, জার্মানির নিয়ম হলো, নির্বাচনের ৩০ দিন আগে পর্যন্ত কোনো বিদেশি রাজনীতিক তাদের দেশে প্রচার করতে পারেন। তারপর নয়।

 ২০১৪ সালে কোলনে এর্দোয়ানের একটা সভা ছিল। সেখানে তিনি ভোটের আগে তার সমর্থকদের জড়ো করেছিলেন। এর্দোয়ানের দাবি ছিল, ওটা ভোটের প্রচার ছিল না।  ইউরোপে ইউনিয়ন অফ টার্কিশ ডেমোক্র্যাট(ইউইটিডি)-এর দশ বছর পূর্তি উৎসব পালন করেছেন তিনি। জার্মানির বহু রাজনীতিক এর্দোয়ানকে ওই ইভেন্ট বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ সালে তার প্রচার নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জার্মানিতে প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট পান। অথচ, অ্যামেরিকায় তিনি পান ১৭ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ২১, ইরানে ৩৫ ও কাতারে ২৯ শতাংশ ভোট। 

তবে এবার তিনি জার্মানিতে একইরকম সমর্থন পাবেন কি না, বোঝা যাচ্ছে না। কারণ, বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিরিচদারোলু এবার তুরস্কে ভালো সাড়া পাচ্ছেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ)