জার্মানিতে থাকতে হলে...
৩ জুন ২০১৬চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকার বেশ দ্রুত গতিতে ইন্টিগ্রেশন সংক্রান্ত এক আইন কার্যকর করতে চলেছে৷ এর মূলমন্ত্র হলো, শরণার্থীরা তাদের কর্তব্য পালন করলে রাষ্ট্রও তাদের বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেবে৷
অর্থাৎ জার্মানিতে বসবাস ও কাজকর্ম করতে গেলে জার্মান ভাষা শিখতে হবে, জার্মানির ‘মূল্যবোধ' মেনে নিতে হবে৷ এই শর্ত না মানলে তাদের আর্থিক ভাতায় কাটছাঁট করা হবে, অন্যান্য কিছু সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা হবে৷
বলা বাহুল্য, এমন আইনের খসড়া নিয়ে জার্মানিতে যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক চলছে৷ সরকার অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে বলছে, এই প্রথম রাষ্ট্রের উপরও যথেষ্ট চাপ বাড়ানো হচ্ছে৷ শরণার্থীদের ভাষাশিক্ষা বা ইন্টিগ্রেশন কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা বা তার উন্নতি করা সরকারের প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে৷ সেই অবকাঠামো থাকলে তবেই শরণার্থীদের উপর সংশ্লিষ্ট কোর্সে ভর্তি হবার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হবে৷ তাঁরা সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে৷ তবে এমন মনোভাবকে ‘পপুলিজম' আখ্যা দিচ্ছেন সমালোচকরা৷
একেবারে নিখুঁত ও আদর্শ আইন সম্ভব না হলেও জার্মানির পড়ন্ত জন্মহারের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক আলেক্সান্ডার কুডাশেফ৷
বহুল চর্চিত ইন্টিগ্রেশন আইনের পাশাপাশি শরণার্থীদের কল্যাণে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ বিশেষ করে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপর বাড়তি গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, ইপিডি)