জার্মানিতে টিকা বাধ্য়তামূলক করা ঠিক হবে না
১৩ জানুয়ারি ২০২১করোনা মহামারির সময়ে নিজেকে অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন শ্য়োডার৷ স্বাস্থ্য় ও সেবাখাতে কাজ করা কর্মীদের জন্য় টিকা বাধ্য়তামূলক করার কথা তিনিই সবচেয়ে বেশি বলছেন৷ এক্ষেত্রে বয়স্ক রোগী ও বাসায় থাকা রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়টি তিনি সামনে নিয়ে আসছেন৷
করোনার শুরু থেকেই জার্মানির রাজনীতিকরা বলে আসছেন,টিকা আসলেও সেটা নেয়া বাধ্য়তামূলক করা হবে না৷ কারণ অনেকে মনে করছেন, করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে মানুষের চলাফেরা সীমিত করাসহ অন্য়ান্য় যে ব্য়বস্থা নেয়া হচ্ছে, সেগুলো মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি৷ মানুষ মনে করছে, অনেকদিন ধরে তারা নিজেদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে পারছে না৷
সম্প্রতি জরিপে দেখা গেছে, নার্স ও ডাক্তারদের অনেকে টিকা নিতে চান না৷ এই সংখ্য়াটা ধারনার চেয়েও বেশি হওয়ায় শঙ্কিত হয়ে শ্য়োডার টিকা বাধ্য়তামূলক করার চেষ্টা শুরু করেছেন৷
জার্মানিতে অতীতেও কিছু টিকা নেয়া বাধ্য়তামূলক ছিল৷ যেমন প্রবীণরা পোলিও টিকার কথা মনে করতে পারেন৷ এছাড়া করোনা শুরু হওয়ার কয়েকমাস আগে জার্মান সংসদ শিশু এবং ডে-কেয়ার সেন্টার ও স্কুলসহ স্বাস্থ্য়সেবা প্রতিষ্ঠানে কাজ করা কর্মীদের জন্য় হামের টিকা বাধ্য়তামূলক করেছে৷ সাংবিধানিক আদালতও সবসময় বাধ্য়তামূলক টিকার বিরোধিতা খারিজ করে দিয়েছেন৷ করোনার টিকা বাধ্য়তামূলক করলে আইনত কোনো সমস্য়া হবে না৷
অনেক স্বাস্থ্য়কর্মী মনে করছেন, রেকর্ড সময়ে টিকা তৈরি ও তা ব্য়বহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া যারা টিকা নিচ্ছেন তারা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে পারছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের সংখ্য়া অনেক বেশি৷ কড়া লকডাউন চলছে, যদিও ফ্রান্স ও স্পেনের মতো ততটা কড়া নয়৷ মানুষকে নিয়মের মধ্য়ে থাকতে বাধ্য় করার মতো পুলিশ জার্মানির নেই৷ তাই নাগরিকরা যেন স্বেচ্ছায় সরকারকে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে, তার উপর রাজনীতিবিদদের নির্ভর করতে হবে৷ এবং আশা করতে হবে যেন নাগরিকরা ক্রমে টিকার গুরুত্ব বুঝতে পারেন৷
টিকা বাধ্য়তামূলক করতে চাওয়ার আলোচনা তোলার সবচেয়ে বাজে সময় এখন৷ শ্য়োডার সেটাই বেছে নিয়েছেন৷