জার্মানিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
১১ আগস্ট ২০১১গত বছর কোপেনহেগেনে আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়ে আলোচনা মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ তাহলে কী এবছর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে? জার্মান আবহাওয়া দপ্তর জলবায়ু ও পরিবেশের ওপর তীব্র নজর রাখছে৷ সেখানকার কর্মীরা পরিবর্তনগুলো তাঁরা নিঁখুতভাবে নথিপত্রে রাখছেন৷ সেই সঙ্গে কারণগুলোও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তাঁরা৷
গত এপ্রিল মাসে জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়া বিশ্লেষক গেরহার্ড মুলার ভেস্টারমায়ার জানান, ‘‘এপ্রিল মাসে গরম পড়েছে খুব বেশি, খটখটে রোদ এবং আবহাওয়া ছিল অত্যন্ত শুষ্ক৷ গত পাঁচ বছরে এরকম এপ্রিল আমরা মাত্র দু'বার পেয়েছি৷ ২০০৭ এবং ২০০৯ সালে৷ আর তৃতীয়বার এলো ২০১১ সালে৷ সবচেয়ে কম গরম যেদিন ছিল, সেদিনও ১১ ডিগ্রী তাপমাত্রা লক্ষ্য করা গেছে৷ অথচ সাধারণত তা ৭-এর বেশি হয় না৷ ২০০১ সালের এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে৷ ১৮৮১ সালের পর এতো গরম এপ্রিল জার্মানি পায়নি৷
তাপমাত্রার পাশাপাশি, নিম্নচাপ এবং হঠাৎ করেই প্রচণ্ড রোদ – এসবই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছে ২০১০ সালের গ্রীষ্মকালে আবহাওয়ার কতটা হেরফের হয়েছে৷ ভেস্টারমায়ার'এর কথায়, ‘‘জার্মানির পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে কয়েকবার৷ কোনো কোনো জায়গায় তিনবার বন্যা হয়েছে৷ বৃষ্টিপাত হয়েছে তূলনামূলকভাবে অনেক বেশি৷ ব্রান্ডেনবুর্গ এবং স্যাক্সনিরাজ্যে আবহাওয়া ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে৷ সেটা বৃষ্টি, রোদ বা বন্যা যেটাই হোক না কেন৷ সেখানে মানুষ ধরেই নিয়েছে যে সারাক্ষণই নিম্নচাপ থাকবে৷''
আবহাওয়া দপ্তর সবসময়ই সেই দিন এবং তার পরের দিনের আবহাওয়া কেমন হবে তা নিয়ে কথা বলে, লেখালেখি করে৷ এবং সবসময়ই দেখা গেছে যে, একটি শহর নিয়েই তারা ব্যস্ত৷ যেন যে মানুষ যে শহরে থাকে, তার কাছে সেই শহরের আবহাওয়ার খবর জানাটাই জরুরি৷ অথচ বিষয়টি সেরকম নয়৷ এসব দপ্তরে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা অনেকেই আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ পরিবেশকে রক্ষা করার বিভিন্ন কথাও তাঁরা বিভিন্ন সময় বলেছেন৷
জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের প্রেসিডেন্ট গেরহার্ড আড্রিয়ান জানান, ‘‘২০১০ সাল ছিল পরিবেশকে ধ্বংস করার জন্য মোক্ষম একটি বছর৷ প্রথম ছয় বছরেই আমরা ৩১ হাজার মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপাদন করেছি৷ এটা আবহাওয়া এবং পরিবেশের জন্য খুবই দুঃখজনক একটি খবর৷''
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ