জার্মানিতে চলচ্চিত্রের চিত্রায়ন শুরু
৬ জুন ২০২০দৃশ্যের প্রয়োজনে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যদি এক মিনিটের বেশি সময় ধরে দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হয় তাহলে তাদের কোয়ারান্টিনে পাঠানোর নিয়ম করা হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন প্রযোজক নিকো হফমান৷
এছাড়া চলচ্চিত্রের সেটে কাজ করা সবার নিয়মিত বিরতিতে করোনা পরীক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি৷
এসব কারণে চিত্রায়নের খরচ বেড়ে যাচ্ছে৷ তারপরও অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান পরিচালকরা৷
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্ক্রিপ্ট নতুন করে লেখারও বিপক্ষে হফমান৷ তিনি মনে করেন, কোনো আপোস না করেই চিত্রায়ন চালিয়ে যাওয়া উচিত৷
স্ক্রিপ্ট লেখক সেবাস্টিয়ান আনড্রায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে যদি সিনেমায় যৌন আবেদন উদ্রেককারী দৃশ্যের সংখ্যা কমে যায় তাহলে বিষয়টা লজ্জার হবে৷ আমাদের কাজ হচ্ছে মানুষের মধ্য যোগাযোগ তুলে ধরা৷ নৈকট্য ছাড়া সেটা সম্ভব নয়,’’ বলেন তিনি৷ সেবাস্টিয়ান আনড্রায় জার্মান স্ক্রিনরাইটার্স সংগঠনের একজন বোর্ড সদস্য৷
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার পরও যদি চিত্রায়ন করতে গিয়ে কাউকে কোয়ারান্টিনে যেতে হয় তাহলে তার ক্ষতিপূরণ কী হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিনেতা হান্স-ভ্যার্নার মায়ার৷ তিনি জার্মানির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংগঠন বিএফএফএস-এর বোর্ডের একজন সদস্য৷ মায়ার বলেন, ‘‘চিত্রায়নের কারণে কোয়ারান্টিনে যাওয়াদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কথা বলতে হবে, কারণ এই সময়ে তারা অন্য কোনো কাজও করতে পারবেন না৷ তাছাড়া পরিবার থেকেও আলাদা থাকতে হবে,’’ বলেন তিনি৷
বর্তমানে করোনার কারণে সিনেমা নির্মাতারা ক্ষতির মুখে পড়লে বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার উপায় নেই৷ তাই একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে সরকারের প্রতি আহ্ৱান জানিয়েছেন ১০০-র বেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা৷
টর্স্টেন লান্ডসব্যার্গ/জেডএইচ