কপিরাইট মামলা
২১ এপ্রিল ২০১২আদালত ৭টি গানের ক্ষেত্রে ইউটিউবের বিরুদ্ধে আদেশ জারি করেছেন৷ ভবিষ্যতে গেমা যদি এই ভিডিওগুলির বে-আইনী আপলোড দেখিয়ে ইউটিউব'কে সেগুলি সরিয়ে নিতে বলে, এবং ইউটিউব তা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গান প্রতি ইউটিইব'এর আড়াই লাখ ইউরো জরিমানা, এবং তার কর্মকর্তাদের ছ'মাস অবধি জেল হতে পারে৷
মোট কথা, ইউটিউব'এর উপর নিজে থেকেই বে-আইনী আপলোড খুঁজে বাদ দেওয়ার দায়িত্বটা চাপল না৷ ইউটিউব'এর মালিক গুগল নিশ্চয় তা'তেই খুশি৷ অন্যদিকে ইউটিউব'এর গ্রাহকরা, বিশেষ করে তরুণ গ্রাহকরা গেমা'র এই জয়ে কতোটা খুশি হবে, বলা শক্ত৷ গত দু'বছরের বেশি ধরে জার্মানিতে অনেক ইউটিউব'এর গ্রাহককে ‘‘জার্মানিতে দেখানো সম্ভব নয়'', এই নোটিস নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে৷ সন্তোষ তো দূরের কথা, ইন্টারনেটে কপিরাইটের ব্যাপারে জার্মানির তরুণ প্রজন্মের একাংশের মধ্যে এতোই অসন্তোষ যে, তারা একটি ‘পিরাটেন' বা ‘জলদস্যু' পার্টি খুলে জার্মান রাজনীতিতে হৈ-চৈ লাগিয়ে দিয়েছে৷ সর্বাধুনিক সমীক্ষা অনুযায়ী তারা আগামী সংসদীয় নির্বাচনে ১২ শতাংশ ভোট পেতে পারে৷
ইউটিউব'এর বিরুদ্ধে বিশ্বের বহু দেশেই অভিযোগ উঠেছে যে, তার গ্রাহকরা মিউজিক কপিরাইট ভেঙে ভিডিও আপলোড করে থাকে৷ অধিকাংশ দেশেই ইউটিউব এ'জন্য নিয়মিতভাবে একটা থোক টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পার পেয়েছে৷ কিন্তু জার্মানির গেমা এ'যাবৎ বেঁকে বসে আছে৷
এবার হামবুর্গের আদালত যে রায় দিলেন, তা'তে গেমা ও গুগল'এর আদালতের বাইরে আপোষ না করে উপায় নেই৷ গুগল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, তারা গেমা'র সাথে আবার আলাপ-আলোচনায় বসতে চায়৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম