1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি: বক্তব্য থেকে পিছু হটলেন সিডিইউ প্রধান

২৪ জুলাই ২০২৩

জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউর প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস রোববার চরম ডানপন্থি এএফডি দলের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বলে সমালোচনার মুখে পড়েন৷

https://p.dw.com/p/4UJte
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউর প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস
আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউর প্রধান ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসছবি: Annegret Hilse/REUTERS

এরপর সোমবার টুইট করে তিনি ঐ বক্তব্য থেকে পিছু হটার ইঙ্গিত দেন৷

জেডডিএফ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যার্ৎস বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি' বা এএফডির সঙ্গে কাজ করতে তিনি রাজি আছেন৷ ‘‘যদি কোনো শহর বা পৌরসভায় এএফডির মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে এটা স্বাভাবিক যে, শহরে একসঙ্গে কাজ করা নিশ্চিত করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে,'' বলেন তিনি৷

তবে চরম ডানপন্থিদের সঙ্গে কাজের বিষয়টি সিডিইউর আদর্শের পরিপন্থি বলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ম্যার্ৎস৷

বাভারিয়া রাজ্যে সিডিইউ দলের সঙ্গী সিএসইউর প্রধান মার্কুস শ্যোডার সোমবার সকালে টুইট করে বলেন, এএফডির সঙ্গে যে কোনো পর্যায়ে যে-কোনো সহযোগিতার বিষয়টি তিনি প্রত্যাখ্যান করছেন৷ শ্যোডার বলেন, ‘‘এএফডি একটি গণতন্ত্রবিরোধী, চরম ডানপন্থি ও আমাদের সমাজকে বিভক্ত করা দল৷ এসব আমাদের আদর্শের সঙ্গে মানানসই নয়৷''

এরপর ম্যার্ৎস টুইট করে টিভিতে করা মন্তব্য থেকে পিছু হটার কথা বলেন৷ ‘‘বিষয়টি আরেকবার স্পষ্ট করে বলতে চাই, এবং আমি এটা কখনও অন্যভাবে বলিনি: সিডিইউর রেজ্যুলেশন মানতে হবে৷ এএফডির সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করা হবে না, পৌরসভা পর্যায়েও নয়৷''

এর আগে গত সপ্তাহে আরেকটি মন্তব্য করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ম্যার্ৎস৷ সিডিইউ/সিএসইউ দলকে তিনি ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি- উপাদান সহ' বলে বর্ণনা করেছিলেন৷

ম্যার্ৎস এমন সময়ে এসব মন্তব্য করলেন যখন জরিপে দেখা যাচ্ছে, এএফডি দল দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে৷ ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে প্রথম স্থানে আছে সিডিইউ৷ এরপরেই ২২ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এএফডি৷ জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডি দল আছে তৃতীয় স্থানে৷

ম্যার্ৎস রোববার এও বলেন যে, যে ভোটাররা এএফডির দিকে ঝুঁকেছেন তাদের সিডিইউর দিকে নিয়ে আসতে চায় তার দল৷

জেডএইচ/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)