জার্মানি: বক্তব্য থেকে পিছু হটলেন সিডিইউ প্রধান
২৪ জুলাই ২০২৩এরপর সোমবার টুইট করে তিনি ঐ বক্তব্য থেকে পিছু হটার ইঙ্গিত দেন৷
জেডডিএফ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ম্যার্ৎস বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ে ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি' বা এএফডির সঙ্গে কাজ করতে তিনি রাজি আছেন৷ ‘‘যদি কোনো শহর বা পৌরসভায় এএফডির মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে এটা স্বাভাবিক যে, শহরে একসঙ্গে কাজ করা নিশ্চিত করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে,'' বলেন তিনি৷
তবে চরম ডানপন্থিদের সঙ্গে কাজের বিষয়টি সিডিইউর আদর্শের পরিপন্থি বলে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ম্যার্ৎস৷
বাভারিয়া রাজ্যে সিডিইউ দলের সঙ্গী সিএসইউর প্রধান মার্কুস শ্যোডার সোমবার সকালে টুইট করে বলেন, এএফডির সঙ্গে যে কোনো পর্যায়ে যে-কোনো সহযোগিতার বিষয়টি তিনি প্রত্যাখ্যান করছেন৷ শ্যোডার বলেন, ‘‘এএফডি একটি গণতন্ত্রবিরোধী, চরম ডানপন্থি ও আমাদের সমাজকে বিভক্ত করা দল৷ এসব আমাদের আদর্শের সঙ্গে মানানসই নয়৷''
এরপর ম্যার্ৎস টুইট করে টিভিতে করা মন্তব্য থেকে পিছু হটার কথা বলেন৷ ‘‘বিষয়টি আরেকবার স্পষ্ট করে বলতে চাই, এবং আমি এটা কখনও অন্যভাবে বলিনি: সিডিইউর রেজ্যুলেশন মানতে হবে৷ এএফডির সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করা হবে না, পৌরসভা পর্যায়েও নয়৷''
এর আগে গত সপ্তাহে আরেকটি মন্তব্য করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন ম্যার্ৎস৷ সিডিইউ/সিএসইউ দলকে তিনি ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি- উপাদান সহ' বলে বর্ণনা করেছিলেন৷
ম্যার্ৎস এমন সময়ে এসব মন্তব্য করলেন যখন জরিপে দেখা যাচ্ছে, এএফডি দল দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে৷ ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে প্রথম স্থানে আছে সিডিইউ৷ এরপরেই ২২ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে এএফডি৷ জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডি দল আছে তৃতীয় স্থানে৷
ম্যার্ৎস রোববার এও বলেন যে, যে ভোটাররা এএফডির দিকে ঝুঁকেছেন তাদের সিডিইউর দিকে নিয়ে আসতে চায় তার দল৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)