1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি থেকে লাখ লাখ ইউরো পাচার

১৩ নভেম্বর ২০১৮

দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশগুলো থেকে মাদকের বিনিময়ে জার্মানি থেকে তারা অর্থ পাচার করে বলে স্বীকার করেছে গ্যাংটি৷ প্যারিসে এই গ্যাং-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি শুরু হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/389Cm
Cedar-Geldwäsche-Netzwerk - Beschlagnahmtes Geld
ছবি: Zollkriminalamt

জার্মান সরকারি চ্যানেল এনডেএর, ভেডেএর এবং স্যুডডয়চে সাইটুং পত্রিকাকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল এই মামলার নথিপত্র দেখার৷ এগুলো দেখে সাংবাদিকরা নিশ্চিত যে, বিশ্বব্যাপী কোকেন এবং অর্থপাচারে এই গ্যাং-এর নেটওয়ার্ক রয়েছে৷

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি ডিইএ সন্দেহভাজন গ্যাং সদস্য এবং কলম্বিয়ার মাদক পাচারকারীদের কথোপকথোন রেকর্ড করতে সফল হয়৷ একই ধরনের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছিলো ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ৷ তারা এ ধরনের কয়েকশ' টেলিফোন কথোপকথোন রেকর্ড করেছিল৷ দুই পক্ষের আলোচনা থেকে তারা এটা নিশ্চিত হন যে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে এই গ্যাং-এর সদস্যরা ছড়িয়ে রয়েছে৷ তবে এদের নেটওয়ার্ক রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকায়৷

মাদকপাচারের মাধ্যমে ইউরোপ থেকে লাখ লাখ ইউরো পাচারের অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এদের প্রায় সবাই লেবাননের নাগরিক অথবা লেবানিজ বংশোদ্ভূত৷ তদন্তকর্মকর্তাদের ধারণা এই গ্যাংটি ইউরোপে কর্মকাণ্ড চালালেও মূলত লেবানন থেকে এদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷

প্রতি সপ্তাহে জার্মানিসহ অন্যান্য দেশ থেকে ১০ লাখ ইউরো ইউরোপের বাইরে পাচার করত তারা৷ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বড় ধরনের একটি তদন্ত হয় এ বিষয়ে৷ ছ'টি দেশে সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ৮ লাখ নগদ ইউরো জব্দ করে তারা৷ জার্মানি থেকে চারজন আটক হয়৷

এই সদস্যদের মধ্যে কাজ ভাগ করা থাকে৷ যেমন আখেনের কাছ থেকে যে ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিল, সে জার্মানি, বেলজিয়া, স্পেন, ইটালি এবং ফ্রান্সে নগদ অর্থের বিনিময়ে মাদক বিক্রি করত৷ এরপর সেই অর্থ সে অন্য সদস্যদের ভাগ করে দিয়ে তাদের অলংকার, দামি ঘড়ি এবং দামি গাড়ি কিনতে বলত৷ এরপর তারা সেগুলো লেবাননে নিয়ে বিক্রি করত৷ এরপর সেই অর্থ সরাসরি চলে যেত দক্ষিণ অ্যামেরিকার মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে৷

কর্তৃপক্ষ এখন তদন্ত করছে এই গ্যাং-এর সদস্যরা হেজবুল্লাহর হয়ে কাজ করছে কিনা৷ যদিও এখন পর্যন্ত তারা এমন কোনো তথ্য পাননি যে এই অর্থ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে৷

তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, অবৈধ ব্যবসার জন্য জার্মানি হচ্ছে ইউরোপের মূল কেন্দ্র৷তবে এই গ্যাং সদস্যদের মধ্যে একজন আলী জেড সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘‘তিনি নির্দোষ৷ তার ব্যবসা বৈধ৷''

জার্মানির ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এই মামলা করেছে৷ গত বছর ৬০ হাজার ইউরো অর্থ পাচারের মামলা করেছে তারা৷ প্যারিসে এই মামলার অভিযোগের শুনানি এ মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা৷

ফল্কমার কাবিশ, ইয়ান লুকাস স্ট্রোজিক, বেনেডিক্ট স্ট্রুনৎস/এপিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য