জার্মানি-ইসরায়েল বন্ধুত্ব
১২ মে ২০১৫দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে হারে ইহুদি নিধন হয়েছিল, তাতে একটা সময় পর্যন্ত জার্মানির সঙ্গে ইসরায়েলের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা কল্পনা করাও ছিল কঠিন৷ সেই কঠিন পথে যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৫ সালে৷ সে বছর থেকেই শুরু দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রত্যক্ষ উদ্যোগ৷ জার্মানির জন্য শুরুটা সুখপ্রদ ছিল না৷ সে বছর প্রথম জার্মান রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইসরায়েলে যান রল্ফ পাউলস৷ তাঁকে টমেটো ছুড়ে ‘স্বাগত' জানিয়েছিলেন ইসরায়েলের মানুষ৷
তবে তারপর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে৷ এক সময় শিল্প, সাহিত্য, চলচ্চিত্র এবং সংগীতে পারস্পরিক আগ্রহ গড়ে ওঠে৷ নানা উৎসব এবং প্রদর্শনীকে ঘিরে শুরু হয় শিল্পীদের যাতায়াত৷ বার্লিনসহ জার্মানির অনেক শহরে বসবাসে আগ্রহী হয়ে ওঠেন ইসরায়েলিরা৷ এই মু্হূর্তে শুধু বার্লিনেই বাস করেন প্রায় ২০ হাজারের মতো ইসরায়েলি৷
তার মানে এই নয় যে, ইসরায়েলের সব কিছুই জার্মানির মানুষ সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন৷ ইসরায়েল ফিলিস্তিনে হামলা চালালে ঠিকই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয় জার্মানির শহরে শহরে৷ বার্লিনে কোনো ফুটবল ম্যাচে কেউ ইসরায়েলের পতাকা ওড়ালে পুলিশ ঠিকই বাধা দেয়৷
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অবশ্য দু'দেশের সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ৷ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট রভে রিভলিন এখন জার্মানি সফর করছেন৷ দু'দেশের বন্ধুত্বের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যেই তাঁর এ সফর৷ তবে বাণিজ্যও গুরুত্ব পাচ্ছে সফরে৷ ইসরায়েল চারটি যুদ্ধ জাহাজ কিনছে জার্মানির কাছ থেকে৷ এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করা শেষ৷ চলমান সফরে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকও করছেন রভে রিভলিন৷
এসিবি/ডিজি (এপি,এএফপি)