কোস্টারিকায় পুনর্বনায়ন
৭ জুন ২০১৬কোস্টারিকার বায়ো-করিডোরের পশ্চিম উপকূলে পুনর্বনায়নের কাজ চলছে৷ কাজ চলছে ইকো-টুরিজমের জন্য পরিচিত ভেনাডো দ্বীপেও৷ দ্বীপের বাসিন্দা আনা রেইয়েস পর্যটকদের বিশেষ এক প্রকল্প ঘুরিয়ে দেখান৷ প্রকল্পের নাম ‘পারাইসো এস্কোনদিদো' বা লুকানো স্বর্গ৷
এই পুনর্বনায়ন প্রকল্পে লাল ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হয়েছে৷ প্রকল্পের কর্মী ও গাইড আনা রেইয়েস বলেন, ‘‘পুনর্বনায়ন প্রকল্পে এই গাছটিই লাগানো হচ্ছে, কারণ, এটি বেশ ভালোভাবে বেড়ে উঠে৷''
নারীরা তাদের ঘরবাড়ি রক্ষা করতে চায়৷ যদি সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে যায় তাহলে ম্যানগ্রোভ ক্ষয়ে যাওয়া আর উঁচু ঢেউয়ের হাত থেকে উপকূলকে রক্ষা করবে৷ আরেক কর্মী মেলিসা পেরালটা জানান, ‘‘প্রকল্পে আমরা কয়েকজন নারী আর একজন পুরুষ কাজ করছি৷ এটা একটা পারিবারিক প্রকল্পের মতো৷ এটা সহজ কাজ নয়৷ পানির বড় বড় পাত্র তুলতে হয় আমাদের৷ তবে এটা ভালো প্রকল্প৷ পরিবেশ রক্ষার জন্য আমরা সবাই কিছু করতে চাই, কেননা, অনেকদিন ধরে ম্যানগ্রোভ কাটা হচ্ছে৷ অনেক প্রাণীর আশ্রয়স্থল হচ্ছে এই ম্যানগ্রোভ৷ তাই আমরা যত বেশি সম্ভব ম্যানগ্রোভ লাগাতে চাই৷''
কোস্টারিকার অনেক প্রতিষ্ঠান এই ধরনের পুনর্বনায়ন প্রকল্পে সহায়তা করছে৷ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে জার্মানির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, জিআইজেড৷ সঙ্গে আছে আরেকটি জার্মান কোম্পানি যারা ইউরোপে রপ্তানির জন্য অর্গানিক চিংড়ির চাষ করছে৷ তবে সাগরে নয়, অ্যাকুয়াকালচার ব্যবস্থায়৷ কোস্টারিকার সরকারের কঠোর নীতিমালার আওতায় চিংড়ি চাষ হচ্ছে৷ এই জায়গায় চিংড়ি চাষ করে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেতে কোম্পানিটিকে পুনর্বনায়ন প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিতে হয়েছে৷
অক্টোবর মাস থেকে ‘থ্রি-ওয়াটলেড বেলবার্ড' নামের এই পাখিগুলোকে পশ্চিম উপকূলে দেখা যায়৷ এরপর তারা ম্যানগ্রোভ অঞ্চল হয়ে মন্টেভের্ডের ক্লাউড ফরেস্টে চলে যায়৷
সংরক্ষিত এলাকাগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের কাজটি বিশাল৷ বিশ্বে এই ধরণের প্রকল্প এটাই প্রথম৷
জেডএইচ/এসিবি