1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খতনার বৈধতা নিয়ে বিল অনুমোদন

১৩ ডিসেম্বর ২০১২

ইহুদি ও মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় রীতি অল্প বয়সি ছেলেদের খতনা করা৷ কিন্তু সম্প্রতি জার্মানির একটি আদালত এর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল৷ ফলে নানা মহলে বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক শুরু হয়৷ অবশেষে জার্মান সংসদেই তার ফয়সালা হলো৷

https://p.dw.com/p/171gs
Rabbiner verfolgen am 12.12.2012 im Deutschen Bundestag in Berlin die Debatte. Die Parlamentarier stimmen u.a. über eine gestzliche Regelung der Beschneidung ab. Foto: Wolfgang Kumm/dpa +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

গত মে মাসে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলের শহর কোলনের একটি আদালত অল্প বয়সি ছেলেদের শারীরিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে খতনা নিষিদ্ধ করে দেয়৷ তবে এই রায়ের পরপরই সারাদেশে খতনার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার ঝড় ওঠে৷ বিশেষ করে আদিকাল থেকে চলে আসা ইহুদি ও মুসলমানদের এই ধর্মীয় রীতি নিয়ে উভয় গোষ্ঠীর নেতারা সোচ্চার হন৷ কারণ কোলন আদালতের রায়ের পর জার্মানির চিকিৎসকরা খতনা করতে দ্বিধা করতেন এই ভয়ে যে, তাদেরকে হয়তো আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে৷

ফলে খতনা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শেষ পর্যন্ত জার্মান সংসদে পৌঁছে৷ জুলাই মাস থেকে সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ অক্টোবর মাসে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভা খতনার বৈধতা নিয়ে একটি আইনের খসড়া পেশ করে৷ এরপর নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সংসদের উচ্চকক্ষ বুন্ডেসরাটে অনুমোদিত হয় এই আইনের খসড়া৷ আর বুধবার সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগেও বিপুল সংখ্যক ভোটে অনুমোদিত হলো খতনার বৈধতা সংক্রান্ত বিল৷ নতুন এই আইনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩৪ জন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ১০০ জন সাংসদ৷

ARCHIV - Ein kleiner türkischer Junge wird beschnitten, bei einer Massenbeschneidungszeremonie in Istanbul, Türkei, am 29 Juni 2009. Die Organisation «Religionsgemeinschaft des Islam» hat nach dem Urteil zur Strafbarkeit von Beschneidungen von Jungen vor der Kriminalisierung von Eltern und Ärzten gewarnt. «Das ist ein harmloser Eingriff mit tausende Jahre alter Tradition und hohem Symbolwert», sagte der Vorsitzende Demir am Mittwoch (27.06.2012) der Nachrichtenagentur dpa in Stuttgart. EPA/TOLGA BOZOGLU +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

তবে নতুন এই আইনে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয়েছে এই কাজে দক্ষ চিকিৎসক কিংবা প্রশিক্ষিত পেশাদার ব্যক্তিই যেন শুধু খতনার কাজ করেন৷ এছাড়া ছোট শিশুটি যেন যথাসম্ভব স্বল্প মাত্রায় ব্যথা অনুভব করে সেদিকেও নজর দিতে হবে৷ ফলে খতনার সময়ে সাময়িকভাবে দেহের বিশেষ অংশ অবশ করে দেওয়া যেতে পারে৷ এছাড়া শিশুর স্বাস্থ্যহানির কোনো আশঙ্কা থাকলে খতনা দেওয়া যাবে না৷

এই আইনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে গিয়ে জার্মানির বিচার মন্ত্রী জাবিনে লয়েটহয়জার-শ্নারেনব্যার্গার বলেন, বিশ্বের কোনো দেশে খতনা করা নিষিদ্ধ নয়৷ সুতরাং আমাদের মতো আধুনিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ দেশে শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব হতে পারে না৷ জার্মান সংসদে খতনা অনুমোদন করে নতুন আইন তৈরিতে খুশি ইহুদি ও মুসলমান সমাজ৷ একইসাথে জার্মানির ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স এটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার রক্ষাকবচ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন৷

এএইচ / জেডএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য