মেয়েদের কাছে বায়ার্ন-বার্সা ম্লান
২৬ জুলাই ২০১৩বুধবার দু'দুটো বড় ম্যাচ নিয়ে মজে ছিল জার্মানির ফুটবল দর্শকরা৷ নিজেদের দেশে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন জার্মানি বনাম বার্সেলোনার প্রীতি ম্যাচ, তারপরই সুইডেনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জার্মান মেয়েদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার লড়াই৷ দুটোই বড় ম্যাচ হলেও ধরে নেয়া হয়েছিল দর্শক আগ্রহ বেশি থাকবে গত মৌসুমে ‘ট্রেবল' জেতা জার্মান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে স্প্যানিশ লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ম্যাচেটার দিকেই৷ কিন্তু এক হিসেব সেই পূর্বানুমান ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে৷ বায়ার্ন-বার্সার জার্মান মেয়েদের কাছে হারটা সেখানেই৷
জার্মানির জেডডিএফ চ্যানেল জানিয়েছে, বুধবারের দুটি ম্যাচের মধ্যে মেয়েদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ সেমি-ফাইনালেরই দর্শক ছিল বেশি৷ গোথেনবার্গে স্বাগতিক সুইডেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে জার্মানির ফাইনালে উঠে যাওয়া দেখেছেন জেডডিএফ-এর মোট দর্শকের শতকরা ২৯ দশমিক ৯ ভাগ৷ আর বার্সেলোনাকে বায়ার্নের কাছে ২-০ গোলে হারতে দেখেছেন মাত্র ২৩ দশমিক ৫ ভাগ দর্শক৷
তারকায় ঠাসা এ দুটি দলের ম্যাচে দর্শক আগ্রহ কম থাকার অবশ্য কারণও আছে৷ বার্সেলোনার প্রথম একাদশের অনেক খেলোয়াড়ই এখনো বিশ্রামে৷ ব্রাজিলকে কনফেডারেশন্স কাপ জেতানো নেইমার নতুন মৌসুম শুরুর আগে আরো কিছুটা বিশ্রাম নিতে চান বলে দলের সঙ্গে মিউনিখে আসেননি৷ প্রীতি ম্যাচে খেলোয়াড় বদলানো হয়েছে যখন-তখন৷ মেসি তো নয়ই, ডেভিড আলাবা ছাড়া বার্সেলোনার কোনো খেলোয়াড়ই পুরো ৯০ মিনিট খেলেননি৷ ম্যাচ শুরুর ১৪ মিনিট পরই ফিলিপ লামের গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে একেবারে নতুন চেহারায়৷ বায়ার্নও কম যায়নি৷ দ্বিতীয়ার্থে ১০ বার খেলোয়াড় বদলেছে তারা৷ তাতেও অবশ্য ক্ষতি হয়নি জার্মান জায়ান্টদের৷ ৮৭ মিনিটে মারিও মান্দজুকিচের গোল হার নিশ্চিত করে দেয় অতিথিদের৷
মেয়েদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ সেমি-ফাইনালে জার্মানরাই ছিল অতিথি৷ ফাইনালে ডেনমার্ক বনাম নরওয়ে ম্যাচের বিজয়ীদের মুখোমুখি হবে সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা৷
এসিবি / ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)