জার্মান ফুটবল
২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩জার্মানি ফুটবল পাগল দেশ৷ একাধিক নামিদামি ফুটবল ক্লাব, ফুটবল তারকা, অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা – কী না নেই! কিন্তু সেই ১৯৯৬ সালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে জার্মান জাতীয় দল কোনো শিরোপা ঘরে আনতে পারে নি৷ ক্লাব পর্যায়েও একই চিত্র৷ ২০০১ সালে বায়ার্ন মিউনিখ চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর সেই ঝুলিও খালি রয়েছে৷
ফুটবল জগতে জার্মানিকে আবার কীভাবে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে আসা যায়, তার দাওয়াই দিতে এবার আসরে নেমেছেন বাঙালি-জার্মান ফুটবল কর্মকর্তা রবিন দত্ত, জার্মান ভাষায় যাঁর পদবি ‘ডুট'৷ ফ্রাইবুর্গ ও বায়ার লেভারকুজেন-এর মতো ক্লাবে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি৷ গত আগস্ট মাস থেকে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন ডিএফবি-র ক্রীড়া কর্মকর্তা তিনি৷ তাঁর পরিকল্পনা হলো, বয়স কম থাকতেই এমন সব খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করা, যাঁরা ভবিষ্যতে দেশের জন্য সাফল্য বয়ে আনতে পারেন৷ তাঁরা যাতে উচ্চ মানের প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সহায়তা পান, তাও নিশ্চিত করতে হবে৷ তাঁর এই স্বপ্নের প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘সবার জন্য সাফল্য'৷
রবিন দত্তের মতে, ফুটবলের বিভিন্ন স্তরে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক প্রতিভা রয়েছে৷ অনেক ভালো উদ্যোগও দেখা যায়৷ কিন্তু সেগুলির মধ্যে বর্তমানে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে৷ বুদ্ধি খাটিয়ে সব শক্তি একত্র করতে পারলেই কেল্লা ফতে৷ খেলার মানও বেড়ে যাবে৷ সাফল্যের উদাহরণ হিসেবে স্পেনকে তুলে ধরেছেন তিনি৷ রবিন মনে করেন, ঠিক পথে চললে স্প্যানিশদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া মোটেই অসম্ভব কোনো কাজ নয়৷
সামগ্রিকভাবে জার্মান ফুটবলের বর্তমান ফর্ম নিয়েও তিনি বেশ সন্তুষ্ট৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের কাঠামোরও প্রশংসা করেন তিনি৷ তবে বিশ্বকাপ, ইউরোপীয় কাপ বা অন্যান্য প্রতিযোগিতায় জেতার আকাঙ্ক্ষাও বেড়ে চলেছে৷ তাছাড়া ফ্রান্স, জাপান ও প্যারাগুয়ের মতো দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে৷ অতএব শুধু ভালো খেলে লাভ নেই, প্রতিযোগিতার শীর্ষ পর্যন্ত এগোনোর বিষয়টিকেই বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে৷ কোয়ার্টার ফাইনাল বা সেমি ফাইনাল পর্যায় অতিক্রম করতে না পারলে কোনো লাভ নেই৷
এ জন্য ডিএফবি-কেই আরও মন দিয়ে, আরও শক্তি প্রয়োগ করে সমন্বয়ের কাজ করতে হবে বলে মনে করেন রবিন দত্ত৷ এই লক্ষ্যে সংগঠনের মধ্যে নতুন একটি বিভাগ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি৷ ক্লাব সহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন যা করে উঠতে পারে না, নতুন এই বিভাগ সেই দায়িত্ব পালন করবে৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এসআইডি)