জামায়াতের বিরুদ্ধে তদন্ত
২৫ মার্চ ২০১৪আব্দুর রাজ্জাক জানান যে, মঙ্গলবার তারা প্রধান প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন৷ আর দাখিলের পর একটি সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন তারা৷
তিনি জানান, গত বছরের ১৮ই আগস্ট থেকে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়৷ যাতে জামায়াতকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হন তারা৷ জানা যায়, জামায়াতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা, শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা – এই চারটি অপরাধ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে৷ এছাড়া ঐ সময় জামায়াত কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে জামায়াতের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করা হয়৷
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মঙ্গলবার চিফ প্রসিকিউটর তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে দেখবেন৷ প্রতিবেদনে যদি জামায়াতের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হবে৷ ট্রাইব্যুনাল শুনানি করে সন্তুষ্ট হলে অভিযোগ গঠন এবং বিচার কাজ শুরু করা হবে৷''
রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনাল আইনের ২০ ধারায় বলা হয়েছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা ট্রাইব্যুনাল যেরকম শাস্তি দেয়া যৌক্তিক মনে করে, দিতে পারে৷ কিন্তু সংগঠনকে তো মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না৷ তাই বিচারে জামায়াত দোষী প্রমাণিত হলে দলটি নিষিদ্ধ হতে পারে৷ দলের সব ধরণের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হতে পারে৷''
গত বছরের ১লা আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট৷ তবে জামায়াত কিন্তু এখনো নিষিদ্ধ নয়৷ অবশ্য এর আগে তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াতে ইসলামী৷ ১৯৫৯ এবং ১৯৬৪ সালে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয় জামায়াত৷ এরপর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয় ১৯৭২ সালে৷ জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৯ সালের ২৫শে মে বাংলাদেশে আবারো রাজনীতি করার সুযোগ পায় জামায়াতে ইসলামী৷