1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পালেরমোর স্বাধীনচেতারা

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

একে তো দেশের বাইরে, তার ওপর থাকেন এমন এক শহরে, যেখানে সংবাদ মাধ্যম তাঁদের দিকে ফিরেও তাকাতে চায়না৷ সঙ্গে আছে জামায়াতে ইসলামীর টাকার জোরকে কাজে লাগানোর ব্যাপারটি৷

https://p.dw.com/p/17f6Q
ছবি: REUTERS

এসবের মাঝেই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার ইটালির পালেরমো শহরের বাংলাদেশিরা৷ ব্লগার শাকির আখলাকুজ্জামান এসবই জানিয়েছেন ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে৷ পালেরমো ইটালির সিসিলি দ্বীপের বেশ ছোট শহর হলেও যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে গিয়ে শাকির আখলাকুজ্জামান খান দেখছেন, সেখানে সমস্যাগুলো অনেক বড় বড়৷

ধারণা করা হয়, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনের পর ইটালিতেই সবচেয়ে বেশি বাঙালির বাস৷ সেই ইটালিতে পালেরমো যত ছোটই হোক, পুরো রাজ্যে বাঙালি আছেন ১৫ হাজারের মতো৷ আমার ব্লগ-এর ব্লগার শাকির ভেবেছিলেন জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর হয়ে যে আন্দোলন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করার কর্মসূচিতে বোধহয় ভালো সাড়া পাবেন৷

ব্লগার শাকির আখলাকুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎকার

কিন্তু দেখা গেল, কেউ কেউ এলেও অনেকে কর্মসূচিতে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যোগ দিতে পারছেন না বেকার হওয়ার ভয়ে৷ পালেরমোয়  ছোট-বড় অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে বসে আছেন জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী এবং সমর্থকরা৷ শাকির আখলাকুজ্জামান খান ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরতদের ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে, ফাঁসির দাবি নিয়ে রাস্তায় নামলে চাকরি হারাতে হবে৷ প্রবাসে বেকারত্ব মেনে নেয়ার ঝুঁকি তাঁরা নিতে পারছেন না, ফলে সাধারণ মানুষদের নিয়ে যে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে সেখানে লোকসংখ্যা প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না৷

শাহবাগের দৃষ্টান্ত দেখে যদি আওয়ামী লীগ, বিএনপির মতো বড় দলের কর্মীরাও একত্রে সোচ্চার হতেন, শাকির আখলাকুজ্জামানদের তাহলে আর ভাবনার কিছু থাকতোনা৷ ওই দুই দলকে পাশে পেলে বড় জমায়েত হতো, সংবাদ মাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করাও হয়ে যেতো সহজ৷ কিন্তু আওয়ামী লীগ আর বিএনপি অন্তর্কোন্দলে দিশেহারা, দু দলেরই আছে দু-তিনটি গ্রুপ৷ এ অবস্থায় পালেরমোয় তারা শুধু নামেই বড় দল, ফাঁসির দাবিতে একত্রে সোচ্চার হওয়ার অবস্থা তাঁদের নেই, তারপরও আওয়ামী লীগ যা-ই একটু কর্মসূচি পালন করেছে, দেখে মনে হয়নি খুব বড় দল তারা৷ অন্যদিকে জামায়াত এতটাই একতাবদ্ধ এবং সংগঠিত যে নীরবেই বাগড়া দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী নির্মূল করার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের প্রয়াসে৷

ছোট শহরে সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্ব এবং সক্রিয়তা এমনিতেই কম থাকে৷ তার ওপর কয়েকটি উপদলে বিভক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগও সব বাঙালিকে সঙ্গে নিয়ে, দলীয় ব্যানারের বাইরে কর্মসূচি না দেয়ায় কাজটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে শাকির আখলাকুজ্জামান খানদের জন্য৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রবাসী এই ব্লগার সেই লড়াইকে অবশ্য অজেয় মনে করে বসে থাকেননি, জানিয়েছেন আগামী সোমবার আগের তুলনায় বড় কর্মসূচি পালনের ইচ্ছের কথা৷

সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য