জামায়াতের নিবন্ধন বিষয়ে রায়
১৩ জুন ২০১৩রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, তারা আশা করেন জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হবে৷
জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকের্টে রিট আবেদন করা হয় ২০০৯ সালে৷ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবসহ ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এই রিট করেন৷ ঐ বছরেই আদালত রুল জারি করেন৷ বুধবার হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে৷ এখন হাইকোর্ট যে কোনো দিন রায় দেবেন৷
রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ডয়চে ভেলেকে বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) বি(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদ এবং সংবিধান পরিপন্থী৷ তানিয়া আমীর এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সংবিধানে জনগণ সার্বভৌম এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক৷ কিন্তু জামায়াতের গঠনতন্ত্রে জনগণের ক্ষমতা এবং সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়া হয়নি৷ তাদের দলে নারী-পুরুষের সমতা এবং ধর্মীয় সমতা নেই৷ নারীরা জামায়াতে শীর্ষ পদে যেতে পারেন না৷ পারেন না অমুসলিমরাও৷ রিটের পর যদিও নারীদের জন্য আলাদা মজলিসে শুরা এবং অমুসলিমদের জন্য আলাদা সদস্য পদের বিধান করা হয়েছে৷ কিন্তু তা পুরুষদের সমক্ষ এবং সাম্যভিত্তিক নয়৷
জামায়াতে ইসলামী একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন৷ এর জন্ম ভারতে ১৯৪১ সালে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের একই প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর প্রতিষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামী আছে৷ আর তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের অভিযোগ প্রমাণিত৷ যেমন বালি বোমা হামলার দায় জামায়াতে ইসলামী ইন্দোনেশিয়ার৷
তানিয়া আমীর বলেন, জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কশিনের নিবন্ধন নিতে শুধু নাম পরিবর্তন করেছে৷ আগে ছিল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, এখন হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী৷ তিনি আশা করেন, জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করবে হাইকোর্ট৷ তখন নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে৷
এদিকে আদালতে জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো বিধান জামায়াতের গঠনতন্ত্রে নেই৷ নারী এবং অমুসলমানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণও করা হয়নি তাদের গঠনতন্ত্রে৷ তাই তারা আশা করেন, আদালত রুল বাতিল ও রিট খারিজ করে দেবে৷