জামায়াতের নিবন্ধন
২৬ আগস্ট ২০১৩রবিবার তিনি জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না৷ তিনি বলেন, হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দিয়েছে৷ এই রায় বহাল থাকা পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কাজ করবে নির্বাচন কমিশন৷
৩রা অক্টোবর উপ-নির্বাচন হবে৷
গত ১লা আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে৷ এরপর জামায়াত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিতের আবেদন জানালে, তা নাকোচ করে আদালত হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখে৷ তবে জামায়াতকে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়৷
এর জবাবে জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় এখনো প্রকাশ পায়নি৷ বিচারপতিদের স্বাক্ষর করা রায় না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জামায়াতের নিবন্ধনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না৷ তাছাড়া তাদের আপিল প্রক্রিয়াধীন আছে৷ একটি বিচারাধীন মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন বহাল আছে বলে তিনি মনে করেন৷ তাই বরগুনা-২ আসন নিয়ে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আইনানুগ হয়নি বলে মনে করেন তিনি৷ তিনি জানান, আলাপ-আলোচনা করে তারা বিষযটি নিয়ে আদালতে যেতে পারেন৷
এদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে বরগুনা-২ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে স্পষ্ট যে, জামায়াতের ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় তারা বাস্তবায়ন করছেন৷ তিনি বলেন, নিবন্ধন বাতিল করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের৷ তারা এখন তা করছেন বলেই মনে হয়৷ হাইকোর্টের রায়ের আগেও কমিশন চাইলে তা করতে পারতো৷
তবে তিনি মনে করেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করত পারতো কমিশন৷ নির্বাচন কমিশন তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে৷ তবে সাখাওয়াত বলেন, তারা যদি এখন কমিশনে থাকতেন তাহলে এত তাড়াহুড়ো করতেন না৷ তারা পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর দেখে-শুনে সিদ্ধান্ত নিতেন৷ নিবন্ধন বতিলের মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে দেখে-শুনে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন৷ তিনি মনে করেন, যেহেতু জামায়াতকে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে তাই মামলাটি এখনো বিচারাধীন৷
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন মোট ৩৯টি দলকে নিবন্ধন দেয়৷ এর মধ্যে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন পরে বাতিল করা হয়৷ আর এবার, বাতিল তালিকায় পড়ছে জামায়াতে ইসলামী৷