হরতাল ব্যর্থ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩জামায়াতের হরতাল প্রতিরোধের ডাক ছিল৷ এ ডাক দিয়েছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী এবং শ্রমিক সংগঠন৷ তাই সকাল থেকেই আর দশটা হরতালের চেয়ে সোমবারের হরতাল চিত্র ছিল আলাদা৷ ঢিলেঢালা বললে সুবিচার হবেনা৷ তাই বলা যায় হরতালেও প্রায় স্বাভাবিক জনজীবন৷
ঢাকার রাস্তায় জনপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন বের হয় সকাল থেকেই৷ যাত্রীও ছিল বেশ৷ কেউ প্রয়োজন তাই বের হয়েছেন৷ আবার কেউ বের হয়েছেন জামায়াতের ডাকা হরতাল যে মানেন না তা জানাতে৷ পরিবহন শ্রমিকরাও ছিলেন তৎপর৷ তাদের ব্যস্ততা ছিল নিত্য দিনের মতই৷
রাজধানীর আধুনিক শপিং কমপ্লেক্স থেকে পাড়া এবং অলিগলির দোকাপাটও সকাল ১১টার মধ্যে খুলে যায়৷ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা হয়েছে৷ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক৷
শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সকাল থেকেই সাধারণ মানুষ জড়ো হন৷ সেখানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় ব্লগার রাজীব হত্যার প্রতিবাদে৷ ১৪ তম দিনেও সেখানে নেই কোন ক্লান্তি৷ তারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবি অব্যাহত রেখেছেন৷
আর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল এবং সমাবেশ করেছে৷ সমাবেশের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবল আলম হানিফ বলেন, সংশোধিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যাল আইনের আওতায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা যাবে৷
এর মধ্যেও সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকায় হরতাল সমর্থকরা একটি বাসে হামলা চালালে বাসটি উল্টে গিয়ে একজন যাত্রী নিহত হয়েছেন৷ সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকার আমজাদের বাজারে পুলিশ এবং জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন৷ হরতাল সমর্থকরা হঠাৎ পুলিশের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে৷ কক্সবাজারের রামুতে সড়ক অবরোধ করে জামায়াত শিবির যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স-এ হামলা চালালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা একজন রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে পুলিশ জানায়৷ এদিকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদ আকস্মিক এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে হরতাল সফল বলে দাবি করেছেন৷