জাবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে কনস্টেবল আটক
১২ জুন ২০২৩রোববার রাত ১১টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের মোড়ে তাকে আটক করে পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷
এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের পরিচয়পত্র, হ্যান্ডকাফ ও একটি সাধারণ ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়৷
ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ৷
আটক মেহমুদ হারুন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত বলে জানা গেছে৷
শিক্ষার্থীরা জানায়, বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন রাস্তায় এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করে দুজন বহিরাগত৷ পরে ওই শিক্ষার্থী মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়৷ হল থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে একজনকে আটক করে৷ অপরজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ পরে আটককৃতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা৷
নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিক্ষার্থীরা আমাদের হাতে মেহমুদ হারুনকে তুলে দেয়৷ তার কাছ থেকে একটি হ্যান্ডকাফ ও একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়েছে৷' আটক মেহমুদ হারুন বলেন, 'আমার সঙ্গে এক ছোটভাই ছিল৷ তার নাম বিদ্যুৎ চৌধুরী৷ সে পালিয়ে গেছে৷'
পরে রাতে আশুলিয়া থানার ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন৷ তারা রাত দেড়টার দিকে আটককৃতকে থানায় নিয়ে যান৷ এ সময় আশুলিয়া থানার এসআই আবজাল জাবি নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন৷
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে জানান, অভিযুক্ত মেহমুদ হারুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফৌজদারি মামলা করা হবে৷'
উদ্ধত আচরণ করার দায়ে এসআই আবজালকে আশুলিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷
সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আটক কনস্টেবলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে৷'
এনএস/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার)