জাতীয় পার্টির ইফতারে বিএনপি নেতারা
৩ এপ্রিল ২০২৩রোববার ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লুতে এ ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আবদুল মঈন খান৷ তাদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আবদুস সালাম৷
১৯৯৯ সালে বিএনপির সঙ্গে চার দলীয় জোটে থাকা জাতীয় পার্টির আমন্ত্রণে ইফতারে আসার কথা জানিয়ে আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন পর আমরা এলাম৷”
দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে বর্তমানে সংসদের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির ইফতারে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এ প্রতিনিধি দল যোগ দেয় বলে একাধিক নেতা জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে৷
২০০৬ সালের শেষভাগে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা-হানাহানির আপাত অবসান ঘটে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের জরুরি অবস্থা জারির মধ্য দিয়ে৷ এর পরদিন সেনা বাহিনীর সমর্থন নিয়ে নতুন প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফখরুদ্দীন আহমদ৷
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ওই তারিখ এবং পরের দুই বছরের ঘটনাপ্রবাহকে মানুষ এখন স্মরণ করে 'ওয়ান ইলেভেন' বা ‘এক-এগারো' হিসেবে৷
ক্ষমতার সেই পালাবদলের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পর্যায় পেরিয়ে পরের নির্বাচন ও সরকার গঠনে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেওয়া জাতীয় পার্টির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিএনপিকে৷
ইফতারে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু শুভেচ্ছা বিনিময় করেন৷
রাজনীতিকদের মধ্যে ইফতারে এসেছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক ও দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া৷
অন্যান্য দলের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এর মহাসচিব আব্দুল মান্নান, এবি পার্টির আহ্বায়ক এএসএম সোলায়মান চৌধুরী, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাম আমিনীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন৷
কূটনীতিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার ছিলেন৷
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশিদ, এ বিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ছিলেন৷
এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)