সেরা গায়িকা
৯ এপ্রিল ২০১২সংগীত জগতে দীর্ঘদিনের বিচরণ কণ্ঠশিল্পী শাম্মী আখতারের৷ জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি প্রথমেই প্রয়াত পিতার কথা স্মরণ করলেন৷ ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শাম্মী বলেন, ‘‘আমার অনুভূতি ঠিক বলে বোঝাতে পারবো না৷ পুরস্কার পেলে তো সবাই খুশি হয়৷ অবশ্য আমার আব্বা বেঁচে থাকলে আমি আরো ভালোভাবে বুঝতে পারতাম যে, এই পুরস্কারের অনুভূতিটা কেমন৷ আব্বার জন্যেই আমি আজকে শাম্মী আখতার৷ উপরে আল্লাহর রহমত৷ আব্বার চেষ্টাতেই আমি আজকে এই জায়গায়৷ যাহোক, এই কৃতিত্বে মা, ভাই-বোনসহ সবাই খুশি৷ তবে আমি আজ বেশি করে অনুভব করছি যে, আব্বা নেই৷ আর আমি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ৷ এরপরে যারা বিচারক মণ্ডলীতে ছিলেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি৷ তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাই এজন্য যে, তাঁরা আমার গানকে পছন্দ করেছেন৷ এছাড়া আমার সুরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তিনি আমাকে দিয়ে গানটি আবার গাইয়েছিলেন৷''
ভক্তদের উদ্দেশ্যে শাম্মী আখতার বলেন, ‘‘ভক্তদের দোয়া এবং ভালোবাসার জন্যেই আমার এই পুরস্কার৷ আমি যখন লাইভ অনুষ্ঠান করি, তখন ভক্তরা যে আমাকে টেলিফোন করে দোয়া করেন, এটা অনেক বড় পাওয়া৷ এটা কোটি টাকার মূল্যেও পাওয়া যায় না৷ তাদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ এবং তাদেরকেও শুভেচ্ছা জানাই৷ ভক্তদের সেই দোয়া আল্লাহ শুনেছেন এবং আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন তিনি৷''
সংগীত জীবনের শুরুর দিনগুলো সম্পর্কে শাম্মী আখতার জানান, ‘‘আব্বা বরিশালে ওয়াপদা'য় চাকরি করতেন৷ সেসময় উনার সাথে সাথে আমরা যেতাম৷ বরিশালেই আমার গানের হাতে খড়ি প্রথমে ওস্তাদ গৌর বাবুর কাছে৷ পরে ওস্তাদ বিনয় রায়, রাজবাড়ীতে বাবু বামন দাস গুহ রায় ও প্রাণ বন্ধু সাহা এবং খুলনায় ওস্তাদ সাধন সরকার, রণজিৎ দেবনাথ এবং নাসির হায়দার সাহেবের কাছে গানের তালিম নিয়েছি৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন