জাতীয় কবি নজরুলের প্রতি বাংলাদেশের শ্রদ্ধার্ঘ
২৫ মে ২০১১সকাল হতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাবির মাজার ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়৷ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা জানান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে৷ শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নুর বলেন, বাঙালির দুই কবি নজরুল আর রবীন্দ্রনাথ৷ তাঁরা আমাদের সমৃদ্ধ করে গেছেন৷ আর তাঁরা যেন ছিলেন পরস্পরের সারথি৷
নজরুলের পরিবারের সদস্যরাও আসেন কবির মাজারে৷ কবির নাতনি খিল খিল কাজী সহ পরিবারের সদস্যরা বলেন, তিনি নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন৷ তাই তাঁর চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে৷
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানান, কবির মাজারকে ঘিরে যে নজরুল কমপ্লেক্স তৈরি হচ্ছে তা আরো সম্প্রসারিত করা হবে৷ এখানে এসে যেন নজরুল আবহে সময় কাটানো যায় তার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে৷
ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ে নজরুলের জন্ম বার্ষিকীর ৩ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান৷ তিনি বলেন, নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি৷ অসাম্প্রদায়িক কবি নজরুল তার সৃজনশীলতায় বাঙালি চেতনাকে ধারণ করেছেন৷
এদিকে নজরুল গবেষক আসাদুল হক জানান কবির ভিন্ন এক প্রতিভার কথা৷ তিনি বলেন, নজরুল অন্তত ১৬টি ছায়ছবির সঙ্গে কাজ করেছেন৷ ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানমালায় দেশের বরেণ্য শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা অংশ নিচ্ছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক