1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘের আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা

১১ নভেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গাদের গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছে গাম্বিয়া৷

https://p.dw.com/p/3Spvy
২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বরের এই ছবিতে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে পেছনে হাতবাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছেছবি: Reuters/Handout

নেদারল্যান্ডসের হেগের দি ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) সোমবার অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের পক্ষে গাম্বিয়া এই মামলা দায়ের করে৷

গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আবুবকর মেরি তাম্বাদু এপিকে বলেন, এটা আমাদের প্রজন্মের জন্য লজ্জার বিষয় যে আমাদের চোখের সামনে ওই গণহত্যা হলেও তখন আমরা কিছুই করিনি৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলছেন, ওই গণহত্যার ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই গাম্বিয়া এই মামলা করেছে৷

মামলার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বাড়িঘর ধ্বংসের কথা বলা হয়েছে৷

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় বিদ্রোহীদের হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান৷ তখন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা চলে আসেন৷ গত দুই বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়৷

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের উপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরেন, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ৷

আইসিজে হল জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ; ১৯৪৫ সালে গঠনের পরের বছর থেকে এই আদালত কার্যকর রয়েছে৷

গাম্বিয়ার মামলাটি আইসিজে বিচারের জন্য গ্রহণ করলে এটাই হবে গণহত্যার নিজস্ব তদন্তে আইসিজের প্রথম উদ্যোগ৷ আইসিজের বিধি অনুসারে, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত এক দেশ অন্য দেশের বিরুদ্ধে আ্ন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের অভিযোগ তুলতে পারে৷

গণহত্যা প্রতিরোধ ও এর শাস্তি বিধানে ১৯৮৪ সালে স্বাক্ষরিত কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে৷ ১৯৫৬ সালে ওই জেনোসাইড কনভেনশনে সই করে মিয়ানমার৷

রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনতে ১০টি সংগঠন গাম্বিয়াকে সহায়তা করছে, তাদের একটি হল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)৷

এইচআরডব্লিউর পরিচালক পরম-প্রিত সিং এক বিবৃতিতে বলেন, "গাম্বিয়ার এই আইনি পদক্ষেপের ফলে বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হল৷ এখন আদালত রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের হাত থেকে বাঁচাতে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নিতে পারে৷”

এসআই/কেএম (এপি)