1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

জাতিসংঘে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সংঘাত

২৫ এপ্রিল ২০২৩

নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি দেশ হিসেবে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও মহাসচিব ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউক্রেনের উপর সে দেশের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/4QVvi
জাতি সংঘের মহাসচিব আ্ন্তনিয়ো গুতেরেসের (বাঁ দিকে) বক্তব্য শুনছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি সের্গেই লাভরভ
জাতি সংঘের মহাসচিব আ্ন্তনিয়ো গুতেরেসের বক্তব্য শুনছেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি সের্গেই লাভরভছবি: John Minchillo/AP/picture alliance

আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়ার দিনকাল ভালো যাচ্ছে না৷ সশরীরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থিত হতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে৷ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্বের দায়িত্ব সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন ভূখণ্ডে পা রাখতে শেষ মুহূর্তে ছাড়পত্র পান তিনি৷ রুশ সাংবাদিকরা অবশ্য ভিসা না পাওয়ায় প্রতিনিধিদলের অংশ হতে পারেন নি৷ তার উপর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেশ লাভরভের পাশে বসে সরাসরি ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার কড়া নিন্দা করেন৷ তিনি বলেন, এই হামলার ফলে ইউক্রেনের মানুষের দুর্দশা ও ধ্বংসলীলা চলছে এবং করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক বিভ্রাটের আরও অবনতি ঘটছে৷ গুতেরেস বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে৷ ফলে বেপরোয়া পদক্ষেপ বা ভুল হিসেবের কারণে সংঘাতের ঝুঁকিও বাড়ছে৷

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, সম্ভবত শীতল যুদ্ধের তুলনায় আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ মাল্টিল্যাটারিজম বা বহুপক্ষীয়তাবাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে ‘সংখ্যালঘু' হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, সত্যি কথা হলো কেউ তাদের মানবজাতির হয়ে কথা বলার অধিকার দেয় নি৷

জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড লাভরভের ভাষণ সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য করে বলেন, ‘আজকের সভার ভণ্ড আহ্বায়ক' হিসেবে রাশিয়া তার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে জাতিসংঘের সনদের মূলে আঘাত করেছে৷ বেআইনি, প্ররোচনাহীন ও অপ্রয়োজনীয় এই যুদ্ধ সবচেয়ে পবিত্র নীতির বিরোধী৷ তিনি বলেন, আগ্রাসনের লক্ষ্যে যুদ্ধ ও জমি দখল কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে৷

জাতিসংঘে উভয় পক্ষের প্রবল বাকযুদ্ধ সত্ত্বেও আগামী ১৮ই মে-র পরেও কৃষ্ণ সাগর হয়ে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি সংক্রান্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে৷ জাতিসংঘের মহাসচিব সেই ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন৷ তিনি আরও এক চুক্তির মাধ্যমে রাশিয়া থেকেও খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি সহজ করার ক্ষেত্রে সহায়তার অঙ্গীকার করেন৷ রাশিয়া অবশ্য সার রপ্তানি সংক্রান্ত বোঝাপড়া ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে৷ গুতেরেশের মতে, বৃহত্তর নিরাপত্তা ও সবার সমৃদ্ধির স্বার্থে এমন সহযোগিতা যে অপরিহার্য, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷

রাশিয়া অবশ্য এখনো ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি সংক্রান্ত বোঝাপড়া শেষ করার হুমকি দিয়ে চলেছে৷ সোমবার সন্ধ্যায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে উলটে ইউক্রেনের সরকারকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছে৷ কিয়েভের প্রশাসনের ‘সন্ত্রাসী হামলা'-র কারণে খাদ্যশস্য চুক্তির মেয়াদ বাড়োনার উদ্যোগকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে৷ গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের উপর ড্রোন হামলার অভিযোগ করেছে মস্কো৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)