1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাব গৃহীত

সংবাদভাষ্যঃ পেটার ফিলিপ/আবদুস সাত্তার ৯ জানুয়ারি ২০০৯

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে গাজা যুদ্ধের ওপর একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ পরিষদ প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে সকল সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/GVJs
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান সত্ত্বেও যুদ্ধ থামায়নি ইসরায়েলছবি: AP/DW Fotomontage

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নতুন এই প্রস্তাব ইসরায়েল ও হামাস এর ওপর কি কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারবে? প্রস্তাবে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতি অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে৷

ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে গাজা থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করার ও গাজা ভূ-খন্ডে সীমান্ত খুলে দেয়ার৷ আর হামাসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে গাজায় অস্ত্র পাচার বন্ধ করার জন্য৷ গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে সর্বসম্মতিক্রমে একটা প্রস্তাব পাশ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দুই সপ্তাহের মত সময় লাগলো৷ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় দেয় নি৷ ভোটদানে বিরত থেকেছে ৷

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের আলোচনায় যে সমস্যা ছিল তা হল আরব দেশগুলো চেয়েছিল একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব গ্রহণ করতে৷ পরিষদে আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে লিবিয়া৷ অপরদিকে, অন্য দেশগুলো বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল সাধারণ একটি প্রস্তাব গ্রহণ করতে৷ তবে বিগত কয়েকদিনে গাজায় যুদ্ধের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটায় ওয়াশিংটনেও এখন এই ধারণা জন্মেছে যে, বাধ্যতামূলক নয় এমন প্রস্তাব পাশের সময় শেষ হয়ে গেছে এবং সময় এসেছে প্রস্তাব সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলার৷

কিন্তু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব গৃহীত হওয়া সত্বেও ইসরায়েল ও হামাসের মাঝে গাজায় সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে৷ অবশ্য দুর্ভাগ্যক্রমে মধ্যপ্রাচ্যে এটা হল একটা ঐতিহ্য৷ পরিষদে হিংসাত্মক তত্পরতার সংখ্যার মতই জাতিসংঘের প্রস্তাবের সংখ্যাও৷ আর তখনই কোন প্রস্তাব অনুসরণ করা হয়েছে যখন ইসরায়েল মনে করেছে যে, সংঘর্ষে তার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে এবং উভয় পক্ষ তা আর চালাতে সক্ষম নয়৷

মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘের প্রস্তাব কার্যকর না হওয়ার ইতিহাস রয়েছে৷ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর জন্য এটা মোটেই সুখকর কোন ব্যাপার নয়৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আরব লীগের মত ক্ষুদ্র সংস্থাগুলো মধ্যপ্রাচ্যে তত্পর নয়৷ এটা হতাশাজনক একটা ব্যাপার৷ কিন্তু জাতিসংঘ কেন পারছে না তার প্রস্তাব কার্যকর করতে৷ ইসরায়েল প্রায়ই আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে চলেছে৷ কিন্তু জাতিসংঘ তার প্রস্তাবের মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে কিছুই করতে পারছে না৷