জাওয়াহিরি: মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করা হলো
৩ আগস্ট ২০২২মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বজুড়ে অ্যামেরিকার নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ৩১ জুলাই জাওয়াহিরির মৃত্যুর পর তাদের উপর হামলার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের কাছে যে তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যামেরিকার নাগরিকরা আক্রান্ত হতে পারেন। সেই আক্রমণ আত্মঘাতী বাহিনী করতে পারে বা হত্যা, অপহরণের চেষ্টা হতে পারে অথবা বোমা মারা হতে পারে।
তাই বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে তাদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।
কীভাবে মারা হয়েছে
আল-কায়দা প্রধান আল-জওয়াহিরি সূর্যোদয়ের একঘণ্টা পরে প্রার্থনা শেষ করে কাবুলের বাড়ির বারান্দায় এসেছিলেন। তখন স্থানীয় সময় ছয়টা ১৮ মিনিট। সেসময় দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে আছড়ে পড়ে। আল-জাওয়াহিরি মারা যান। কিন্তু বাড়ির ভিতরে থাকা তার স্ত্রী ও মেয়ের কিছু হয়নি।
কী করে সম্ভব হলো এতটা নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করা? অতীতে এই ধরনের ক্ষেত্রে বহুবার লক্ষ্যের বাইরে আঘাত করেছে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার জন্য অ্যামেরিকার প্রবল সমালোচনা হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে ড্রোন থেকে যে ক্ষেপণাস্ত্র মারা হয়েছে, তা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে। ড্রোনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ড্রোনকে চালিত করা হয় অনেক দূরে বসে। আর ড্রোনে লাগানো ক্যামেরায় পুরো ছবি ধরা পড়ে। লক্ষ্যের দিকে তাক করে লেজার সংকেত দিকে ফেলা হয়। লেজার রশ্মি যে পথে যায়, সেই রাস্তা ধরে ক্ষেপণাস্ত্রও যায় ও লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করে। সেজন্যই এতটা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করা সম্ভব হয়।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি)